বিবিসি বাংলা:
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশ সরকার যে লকডাউন আরোপ করেছে, সেটির দ্বিতীয় দিন চলছে আজ।
প্রথম দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিন রাস্তায় তুলনামূলক শিথিলভাব দেখা গেছে। সকালে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেল, পুলিশ চেকপোস্টগুলো প্রথম দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিন কিছুটা নমনীয়।
প্রথম দিন যেসব চেকপোস্টে পুলিশ বেশ কঠোর মনোভাব দেখিয়ে প্রায় প্রতিটি গাড়ি আটকে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, আজ সেই চিত্র খুব একটা দেখা যায়নি।
তবে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে সব রাস্তায় চলাচল করা যাচ্ছে না।
লকডাউনের প্রথমদিন পহেলা বৈশাখের ছুটি থাকায় সবকিছু বন্ধ ছিল । ফলে মানুষ ঘর থেকে বের হয়েছিল কম।
কিন্তু দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ব্যাংক, শেয়ারবাজার, গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান খোলা। ফলে সকাল থেকে রাস্তায় গাড়ির চলাচলও বেড়েছে কিছুটা।
সকাল সাতটা থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের দলে দলে তাদের কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে।
গার্মেন্টস শ্রমিকরা যেহেতু তাদের কারখানার আশপাশের এলাকায় বসবাস করেন সেজন্য তাদের পরিবহনের প্রয়োজন হয়নি।
সরকার ‘কঠোর লকডাউন’ আরোপ করলেও ব্যাংকিং কার্যক্রম এবং শিল্প-কারখানা বিধি-নিষেধের আওতামুক্ত রেখেছে।
এ দফায় ‘কঠোর লকডাউন’ কার্যকর করতে সরকারের ১৩ দফা বিধি নিষেধে বলা হয়েছে, ‘অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা, চিকিৎসা সেবা, মরদেহ দাফন বা সৎকার এবং টিকা কার্ড নিয়ে টিকার জন্য যাওয়া) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।
এর আগে ৫ থেকে ১১ই এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ দেয়া হলেও সেটি মোটেও কার্যকর হয়নি।
পুলিশের তরফ থেকে ইতোমধ্যে বলা হয়েছে , বুধবার থেকে কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে তা বাস্তবায়নে এবার কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এজন্য ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে আসতে দেয়া হবে না বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।