রহিদুল কবির :

রমজান আসতে বাকী মাত্র ২ দিন।এর আগেই বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের দাম। খুচরা বিক্রেতাদের দাবি পাইকারি বাজারে সংকটের কারনেই এ দাম বৃদ্ধি। নিত্যপণ্যের সাথে তরিতরকারিরও দাম বেড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, প্রতি বছরের প্রথম দিকে সব কিছুর দাম কম থাকলেও রোজার কিছুদিন থেকেই সব কিছুর দাম বাড়িয়ে দেয় বিক্রেতারা। এ বছরও তার এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। মাসখানেক আগে থেকেই বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপণ্য ও তরিতরকারির দাম। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের এত দৌড়ঝাঁপ, কিন্তু এর বাস্তবায়ন তো বাজারে নেই।

গতকাল কক্সবাজার শহরের বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৬৮ -৭২ টাকায়, সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায় , চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।

যদি ও সরকারীভাবে রমজানে ৬ টি পণ্যের দাম নির্ধারণে বলা হয়েছে সয়াবিন তেলের দাম প্রতিকেজি ১৩৯ টাকা, প্রতি কেজি পেঁয়াজের সর্বোচ্চ দাম ৪০ টাকা, চিনি সর্বোচ্চ দাম ৬৭-৬৮ টাকা, ছোলা সর্বোচ্চ দাম ৬৩-৬৭ টাকা, মসুর ডাল উন্নতমানের সর্বোচ্চ দাম ৯৭-১০৩ টাকা ও সাধারণ মোটা মসুর ৬১-৬৫ টাকা, সাধারণ মানের খেজুর ৮০- ১০০ টাকা এবং মধ্যম মানের ২০০-২৫০ টাকা। বার্মিজ মার্কেট এলাকা থেকে বাজার করতে আসা শাহাদাত ইসলাম নামের একজন ক্রেতা জানান সরকার উদ্যোগ নিলে ও ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়াচ্ছেন।

বাজার করতে আসা টেকপাড়া এলাকার মো: ইসমাইল বলেন , বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে প্রশাসনের অভিযান প্রয়োজন এবং সিকদার মহল এলাকার সাজিদুল আলম সৌরভ বলেন ; দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি হওয়ার কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ খুব কষ্ট পাচ্ছে , লকডাউন হওয়ায় সেই কষ্ট বেড়েছে দ্বিগুন।
এদিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজার এর সহকারী পরিচালক মো: ইমরান হোসাইন জানান রমজানে যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম স্বাভাবিক থাকে সেইজন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হবে।