নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজার শহরের বাহারছড়ায় একই পরিবারে ১১ জন করোনা আক্রান্ত থাকা বসতবাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও অকথ্য ভাষায় গালমন্দের অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনা তাতে শেষ নয়, চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা তাদেরকে দেখে নেয়া হবে বলেও হুমকি দিয়ে চলে যায়।

সোমবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে শহরের বাহারছরা তাজর মুল্লুক সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর থেকে করোনা আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরা হুমকি ও আতংকের মধ্যে আছে।

করোনা শনাক্ত পরিবারের ১১ সদস্যের মধ্যে একজন ভুক্তভোগি কবি জসিম উদ্দিন বকুল, যিনি শিল্পকলা একাডেমীর সহ-সভাপতি ও শব্দায়ন আবৃত্তি একাডেমির পরিচালক। কাজ করেন বাংলাদেশ বেতারে।

দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে তিনি এই প্রতিবেদককে মুঠোফোনে অভিযোগ সহকারে বলেন, আমরা একই পরিবারের ১১ জন সদস্য করোনা আক্রান্ত। পরিবারের সবাই চরম দুশ্চিন্তায় সময় পার করছি।

তিনি বলেন, মধ্যম বাহারছড়ার শফি, তার দুই ছেলে মহান ও জয় মিলে প্রথমে তারা ১০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমানকে নাজেহাল করে। পিতা-মাতা তুলে অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করতে শুনে এলাকার লোকজন জড়ো হয়। লকডাউনে থাকা বাড়ির তিন তলা থেকে দৃশ্য দেখছিলাম। এ সময় আমাদের বাড়ি লক্ষ্য করে ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি তাৎক্ষণিক মুঠোফোনে থানাকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পালিয়ে যায় অপরাধীরা।

ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি চান কবি জসীম উদ্দীন বকুল।

এদিকে, যে পরিবারের সবাই করোনা আক্রান্ত সে পরিবারে পাশে দাঁড়ানোর বদলে নাজেহাল, হুমকি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের মতো ঘটনা কোনোভাবেই সমর্থন করতে পারছে না এলাকাবাসী। তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি দিয়েছে তারা।

ঘটনার কারণ জানতে গেলে এলাকাবাসীর ভাষ্য হলো, পৌরসভার একটি জায়গা দীর্ঘ অর্ধশত বছরের বেশি সময় ধরে কবি জসিম উদ্দিন বকুলদের পরিবারের ভোগ দখলে রয়েছে। যেটি সবাই অবগত।

সেই জমি দখলে নিতে ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খোঁজ খবর নিয়ে দেখবেন বলে জানান কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস।