অনলাইন ডেস্ক: হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে ৭ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।

সোমবার দুপুরে ইসলামাবাদীকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করে পুলিশ। এরপর আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন।

এর আগে রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। ২০১৩ সালে রাজধানীর মতিঝিলে জ্বালাও-পোড়াও মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (১২ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে ডিবির মতিঝিল জোনের উপকমিশনার আসাদুজ্জামান আরটিভি নিউজকে বলেন, ২০১৩ সালে মতিঝিল শাপলা চত্বরে তান্ডবের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সম্প্রতি পল্টন এলাকায় তান্ডবের মামালায়ও তাকে আসামি করা হবে।

সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজতের মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেন, ‘রোববার হাটহাজারীতে অনুষ্ঠিত হেফাজতে ইসলামের বৈঠক শেষে ঢাকায় ফেরার পথে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর থেকে হেফাজতের কেন্দ্রীয় সহ-অর্থ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরের সহ-সভাপতি মুফতি ইলিয়াস হামিদিকে আটক করে র‌্যাব। একই বৈঠক থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে আশ্চর্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়েছেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। গতরাত থেকে এখন পর্যন্ত তার কোনও খবর পায়নি পরিবার।

তার মোবাইল -ফোন এবং তার সাথে থাকা ব্যক্তির মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকেও তাকে গ্রেপ্তারের কোন খবর পাওয়া যায়নি। মাওলানা ইসলামাবাদী কি গ্রেপ্তার হয়েছেন নাকি তাকে গুম করা হয়েছে তা নিয়ে আমরা চিন্তিত। হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে হেফাজত নেতৃবৃন্দকে এভাবে গ্রেপ্তার ও গুম করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া সকল নেতৃবৃন্দকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে’।

-আরটিভিনিউজ