বার্তা পরিবেশক:
কক্সবাজার শহরের কলাতলী ডলফিন মোড় এলাকার ৯৯ ব্রাইডাল হাউসে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা পরিকল্পিতভাবে এই কমিউনিটি সেন্টারের পানির মটর চুরি করে নিয়ে গেছে এবং টিউবওয়েল ভেঙে নষ্ট করে দিয়েছে।
৯ এপ্রিল বিকালের এই ঘটনা ঘটে। জামানতের চল্লিশ লক্ষ টাকা আত্মসাত করতে হাজী আনোয়ার হোসাইনের জামাতা এরশাদ নুর তার ভাড়াটে লোকজন নিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।
কক্সবাজার সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মানিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এই ঘটনায় ৯৯ ব্রাইডাল হাউসের ভাড়াটে মালিক নূরুল কবির পাশা থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নূরুল কবির পাশা দীর্ঘদিন ৯৯ ব্রাইডাল হাউস ভাড়া নিয়ে পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু চুক্তি অমান্য করে মালিকপক্ষ ভাড়াটে নূরুল কবির পাশার কাছ থেকে কেড়ে নেয়ার পাঁয়তারা শুরু করে। এই নিয়ে অতীতে কয়েকবার অনাকাঙ্খিত ঘটনাও ঘটেছিল। এসব ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়রি করেছিলেন নূরুল কবির পাশা।
এসব ঘটনার পরও মালিকপক্ষের অবৈধ তৎপরতা থামেনি। এরপরও তারা ভাড়াটে লোকজন নিয়ে বিভিন্ন সময় ৯৯ ব্রাইডাল হাউসের ব্যবসার ক্ষতি করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিলো। এর অংশ হিসেবে ৯ এপ্রিল এরশাদ হোসেনের ইন্ধনে মোহাজের পাড়ার শহীদসহ কয়েকহন মিলে পানির মটর চুরি করে নিয়ে যায় এবং টিউবওয়েল ভেঙে নষ্ট করে দিয়ে যায়। চুরির ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। চুরি নয়; মূলত ব্যবসার ক্ষতিসাধন করতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
নূরুল কবির পাশা অভিযোগ করেন, সিসিটিভি ক্যামেরায় সনাক্ত হওয়ার পর বিষয়টি তাদের জানানো হলে তারা অস্বীকার করে উল্টো নূরুল কবির পাশাকে হুমকি দেন। এমনকি এই নিয়ে থানায় অভিযোগ বা মামলা করা হলে ক্ষতি করার হবেও হুমকি দেন।
সর্বশেষ আজ দুপুরে এরশাদের নেতৃত্বে কটেজের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে পরে কটেজের ভাড়াটিয়া তা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছেন।
এই ঘটনার সুষ্ঠু প্রতিকার পাওয়ার জন্য থানা পুলিশের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নূরুল কবির পাশা।