সিবিএন ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের অনুমতি দিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তা পাল্টিয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার। গত বুধবার ভারত থেকে চিনি ও তুলা আমদানির ছাড়পত্র দিয়েছিল দেশটি। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেই সিদ্ধান্ত পাল্টানো হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বুধবার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা কার্যকর করা হচ্ছে না। খবর-হিন্দুস্তান টাইমসের।
বৃহস্পতিবর প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ভারত থেকে চিনি ও তুলা আমদানির বিষয়টিকে নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আপাতত তুলা ও চিনি ভারত থেকে কেনা হবে না। একই সঙ্গে তিনি জানান, যতদিন না ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ভারত ফিরিয়ে না নেয়, ততদিন স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব হবে না।
এর আগে পাকিস্তান সরকারের মানবাধিকার মন্ত্রী শিরিন মাজারি টুইট করে জানিয়েছিলেন, ইকোনমিক কো–অর্ডিনেশন কমিটির যেকোনো সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের প্রয়োজন। এরপর মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর জানা যায়, পাকিস্তান সরকার এখন বাণিজ্যিক সম্পর্ক শুরু করতে চাইছে না।
এর আগে ইকোনমিক কো–অর্ডিনেশন কমিটির বৈঠকের পর পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী হামাদ আজহার জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান ভারত থেকে চিনি ও তুলা আমদানি করবে। এর ফলে পাকিস্তানের বাজারে চিনির দামে নিয়ন্ত্রণ আনা যাবে ও তুলার চাহিদাও মেটানো যাবে।
হামাদ আজহার আরো জানান, যদি অন্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করে একজন সাধারণ মানুষের কষ্ট কিছুটা লাঘব করা যায়, এতে তো ক্ষতির কিছু নেই। ইকোনমিক কো–অর্ডিনেশন কমিটি ৫ লাখ টন পর্যন্ত চিনি আমদানির ছাড়পত্র দিয়েছিল। এ ছাড়াও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে চাঙ্গা করতে জুন মাসের শেষ পর্যন্ত তুলা আমদানিরও ছাড়পত্র দেয়। পাকিস্তান সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় ভারতের ব্যবসায়ীরাও।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।