সিবিএন ডেস্ক:
‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১’ জারি করেছে সরকার। রবিবার (২৮ মার্চ) স্বাক্ষরিত নীতিমালাটি প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এই নীতিমালায় উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদ থাকবে না। তবে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ রাখা হয়েছে সংশোধিত নতুন নীতিমালায়।

নীতিমালার ১১.৪ ধারায় বলা হয়, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়/স্কুল অ্যান্ড কলেজ/উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে এমপিওভুক্ত প্রভাষক পদে এমপিওভুক্তির দিন থেকে আট বছর সন্তোষজনক চাকরির পূর্তিতে প্যাটার্নভুক্ত প্রভাষক/জ্যেষ্ঠ প্রভাষকের মোট পদের ৫০ শতাংশ নির্ধারিত বিভিন্ন সূচকে মোট ১০০ নম্বরের মূল্যায়নের ভিত্তিতে ‘জ্যেষ্ঠ প্রভাষক’ পদে পদোন্নতি পাবেন। ভগ্নাংশের ক্ষেত্রে ০.৫ বা তার বেশি হলে পরবর্তী পূর্ণ সংখ্যা গণনা করে পদোন্নতি দেওয়া যাবে। এতে মোট পদ সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে না। অন্যান্য প্রভাষকরা এমপিওভুক্তির ১০ বছর সন্তোষজনক চাকরি পূর্তিতে বেতন স্কেলের ৯ থেকে ৮ গ্রেড প্রাপ্য হবেন এবং পরবর্তীতে ৬ বছরের মধ্যে অর্থাৎ ধারাবাহিকভাবে এমপিওভুক্তির ১৬ বছর সন্তোষজনক চাকরি পূর্তিতে ‘জ্যেষ্ঠ প্রভাষক’ পদে পদোন্নতি পাবেন। পদোন্নতি ব্যতীত সমগ্র চাকরি জীবনে দুটির বেশির উচ্চতর স্কেল/টাইম স্কেল প্রাপ্য হবেন।

এতে আরও বলা হয়েছে , ‘জ্যেষ্ঠ প্রভাষক’ পদ থাকবে উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়/স্কুল অ্যান্ড কলেজ/উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে। উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়/স্কুল অ্যান্ড কলেজ/উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদ থাকবে না। তবে এ নীতিমালা জারির আগে উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়/স্কুল অ্যান্ড কলেজ/উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে যারা ‘সহকারী অধ্যাপক’ হিসেবে বর্তমানে কর্মরত আছেন তাদের পদবী বহাল থাকবে এবং বেতন-স্কেল ও সুযোগ সুবিধা বহাল থাকবে। এ নীতিমালা জারির পর থেকে উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়/স্কুল অ্যান্ড কলেজ/উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে ‘সহকারী অধ্যাপক’ পদ নামে কোনও পদ থাকবে না। এ পদটি ‘জ্যেষ্ঠ প্রভাষক’ হিসেবে পরিবর্তিত হবে। অর্থাৎ ‘জ্যেষ্ঠ প্রভাষক এবং ‘সহকারী অধ্যাপক’ এর বেতন স্কেল এবং আর্থিক সুবিধা একই রকম হবে।

নীতিমালার ১১.৫ ধারায় বলা হয়, ডিগ্রি কলেজের এমপিওভুক্ত প্রভাষক পদে এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে ৮ বছর সন্তোষজনক চাকরি পূর্তিতে প্যাটার্নভুক্ত প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপকের মোট পদের ৫০ শতাংশ নির্ধারিত বিভিন্ন সূচকে মোট ১০০ নম্বরের মূল্যায়নের ভিত্তিতে ‘সহকারী অধ্যাপক’ পদে পদোন্নতি পাবেন। ভগ্নাংশের ক্ষেত্রে ০.৫ বা তার বেশি হলে পরবর্তী পূর্ণ সংখ্যা গণনা করে পদোন্নতি দেওয়া যাবে। এতে মোট পদ সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে না। অন্যান্য প্রভাষকগণ এমপিওভুক্তির ১০ বছর সন্তোষজনক চাকরি পূর্তিতে বেতন স্কেলের ৯ থেকে ৮ গ্রেড প্রাপ্য হবেন এবং পরবর্তীতে ৬ বছরের মধ্যে অর্থাৎ ধারাবাহিকভাবে এমপিওভুক্তির ১৬ বছর সন্তোষজনক চাকরি পূর্তিতে ‘সহকারী অধ্যাপক’ পদে পদোন্নতি পাবেন।

পদোন্নতি ব্যতীত সমগ্র চাকরি জীবনে দুটির বেশি উচ্চতর গ্রেড/টাইম স্কেল পাবেন না। ‘সহকারী অধ্যাপক’ পদ থাকবে শুধুমাত্র ডিগ্রি কলেজে। উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ পরবর্তীতে ডিগ্রি কলেজে উন্নীত হলে জ্যেষ্ঠ প্রভাষকদের পদবি ‘সহকারী অধ্যাপক’ হিসেবে পরিবর্তিত হবে এবং বেতন স্কেল ও চলমান আর্থিক সুবিধাদি আগের মতই থাকবে।