সিবিএন ডেস্ক: চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসার ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও (রাত ১২টাও) থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে ওই এলাকায়। শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে বন্ধ রযেছে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও ডিআইজির নেতৃত্বে থানায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক চলছে। অন্যদিকে মাদরাসার মাইক থেকে বেশ কয়েকটি দাবি জানানো হচ্ছে কয়েক মিনিট পরপর। সরকারকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়াসহ নানা দাবি তুলে ধরা হচ্ছে ছাত্রদের পক্ষ থেকে।

শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখানোকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় হেফাজতের নেতাকর্মীরা। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে একপথচারীসহ চারজন নিহত হলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠে। এরআগে ও পরে হাটহাজারী থানা, ভূমি অফিস, ডাক বাংলোসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর ও হামলা চালায় হেফাজত কর্মীরা।

জানা যায়, দুপুরের পর থেকে পুলিশ ও হেফাজতের নেতাকর্মীদের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে বন্ধ আছে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক। এছাড়া ডিআইজি আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে প্রশাসনের কর্মকর্তারা রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থানায় হাটহাজারী মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মুফতি জসিম উদ্দীনের নেতৃত্বে একদল শিক্ষকের সাথে বৈঠকে বসেন। এদিকে মাদরাসা থেকে ছাত্ররা বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়ে যাচ্ছেন মাইকে।

দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-সরকারকে এ ঘটনার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। হাটহাজারীর ওসিকে প্রত্যাহার করতে হবে। আহতদের সব চিকিৎসা ভার সরকারকে নিতে হবে। চমেক হাসপাতালে যাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়নি সেইসব চিকিৎসকদের বিচার করতে হবে। আহত নিহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

এদিকে প্রথমদিকে ময়নাতদন্ত ছাড়া নিহত চারজনের মরদেহ নিতে চাইলেও পুলিশি হস্তক্ষেপে তা সম্ভব হয়নি। পরে রবিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দিয়ে ময়না তদন্ত মেনে নিয়েই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগ ছাড়েন হেফাজতের নেতাকর্মীরা।

অন্যদিকে হেফাজতের হরতাল ঘোষণার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো হরতাল করতে দেওয়া হবে না। সেই সঙ্গে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবের বিষয় খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ -সিভয়েস