অনলাইন ডেস্ক : ঢাকায় পুলিশের গুলিতে সাতজন নিহত হয়েছেন- এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে শত শত বিক্ষুদ্ধ মাদ্রাসাছাত্র রাস্তায় নেমে আসে। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের প্যানেল বোর্ড, সিগন্যাল বোর্ড ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. শোয়েব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

সন্ধ্যায় আবারও রেলস্টেশনে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা। এ ছাড়া তারা জেলা প্রশাসকের ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়, পৌরসভা ভবন, সুরসম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন ও বিটিসিএল কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে দরজা-জানালা ভাংচুর করে। বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতির পিতার ম্যুরাল ভাংচুর করে এবং শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বিভিন্ন ফেস্টুন ছিড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

বিক্ষুব্দ মাদ্রাসা ছাত্ররা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে প্রবেশ করে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত ফেস্টুন ভাংচুর এবং পাশের জেলা শিল্পকলা একাডেমির দরজা-জানালা ভাংচুর করে। এ সময় ডেইলি স্টার ও একুশে টেলিভিশনের দুই সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা হয়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো শহরে। সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা গুরুতর আহত হয়েছেন বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে। চিকিৎসার জন্য রাতেই তাদের ঢাকায় আনার প্রস্তুতি চলছিল।

এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় আদালত এলাকায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বিক্ষোভকারীরা হামলা চালালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মো. আশিক (২০) নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আরিফুজ্জামান জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এক যুবককে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন কয়েক ব্যক্তি। এ সময় যুবককে মৃত ঘোষণার পর পরই তারা জোর করে মরদেহ নিয়ে বেরিয়ে যান। যুবকের শরীরের ডানডিকে পেটে ক্ষতচিহ্ন ছিল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানার ওসি আবদুর রহিম সন্ধ্যায় জানান, বিক্ষোভকারীরা থানার বাইরে অবস্থান করছে।
-সমকাল