সিবিএন ডেস্কঃ

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (২১ মার্চ) দেশের শেয়ার বাজারে বড় ধস হয়েছে। এর মাধ্যমে টানা দুই কার্যদিবস ধসের মধ্যে থাকলো শেয়ার বাজার। এই টানা ধসের কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
এদিন শেয়ার বাজারে লেনদেন শুরু হতেই বিক্রির চাপ দেখা দেওয়ায় সূচকের নেতিবাচক প্রবণতাও লক্ষ করা যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিক্রির এই চাপ বাড়তে থাকায় সূচকের পতনের মাত্রা বাড়তে থাকে।

দিনের লেনদেন শেষে প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ার বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়। সেই সঙ্গে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে ডিএসই।

অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৭২ হাজার ৯৭ কোটি টাকা। এ হিসাবে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৭ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা।

এর মাধ্যমে টানা দুই দিনের ধসে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১৩ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা। বাজার মূলধন বাড়া বা কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে বা কমেছে।

রবিবার লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যাপ্ত অহেতুক বিক্রির চাপ অব্যাহত ছিল বলে জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। মূলত বিনিয়োগকারীদের এই বিক্রির চাপেই শেয়ার বাজারে ধস নেমেছে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় প্রথম ছয় মিনিটের লেনদেনেই ডিএসইর প্রধান সূচক ২৪ পয়েন্ট কমে যায়। সময়ের সঙ্গে সূচকের পতন প্রবণতা বাড়ে। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৪৯ পয়েন্টে নেমে গেছে। এর মাধ্যমে দু’দিনেই ডিএসইর প্রধান সূচক কমল ১৬৫ পয়েন্ট।

প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি বড় পতন হয়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকের। আগের দিনের তুলনায় এই সূচকটি ৩৯ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৩৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ২১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২২৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
দিনভর বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩৯টির। আর ৭৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।