ডেস্ক নিউজ:
সামরিক সরকারবিরোধী আন্দোলনে ক্রমশই অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে মিয়ানমার। রবিবার দেশটির প্রধান বাণিজ্যিক শহর ইয়াঙ্গুনে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে চলমান বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা ৮০ ছাড়িয়ে গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, ইয়াঙ্গুনের হ্লাইং থারিয়ার এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এ সময় জান্তাবিরোধীরা লাঠি ও ছুরি হাতে নিজেদের আত্মরক্ষার চেষ্টা করে। সংঘর্ষ শুরু হলে নিরাপত্তাবাহিনী গুলি ছোড়ে।

সংঘর্ষের পর সামরিক সরকার চীনা কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকা এলাকাটিতে মার্শাল ল জারি করেছে।

চিকিৎসাকর্মীদের বরাতে খবরে বলা হয়েছে, নিরাপত্তাবাহিনী রাবার বুলেট ও তাজা গুলি ছোড়ে। এতে অন্তত ১৪ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমার নাউ ওয়েবসাইট। তবে স্থানীয় অপর স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে নিহতের সংখ্যা আরও বেশি বলে দাবি করা হচ্ছে।

এক চিকিৎসাকর্মী এএফপিকে বলেন, আমি চিকিৎসার দেওয়ার সময় চোখের সামনেই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আমি আরও দুজনকে হাসপাতালে পাঠাচ্ছিলাম। এই মুহূর্তে এটুকুই আমি বলতে পারি।

সারা দিন গুলির শব্দ শোনা গেছে এবং রাস্তায় সামরিক ট্রাকের টহল ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এক পুলিশ সদস্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, পুলিশ ভারি অস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে।

পরে মুছে ফেলা টিকটক পোস্টে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, হ্লাইং থারিয়ারে কোনও দয়া দেখাবো না। বিক্ষোভকারীরাও জানপ্রাণ লড়বে কারণ এখানে অনেক ধরনের মানুষ আছে।

চীনা কারখানা হামলার শিকার হয়েছে দাবি চীনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা চাওয়ার সামরিক সরকার ওই এলাকায় মার্শাল ল জারি করেছে। বেইজিং বলছে, মানুষজন লোহার রড, কুড়াল ও পেট্রোল নিয়ে হামলা চালিয়েছে দশটি কারখানায়। বেশ কয়েকজন চীনা নাগরিক আহত হয়েছে। এছাড়া চীনা একটি রেস্তোরাঁতেও হামলা হয়েছে।

অনেক জান্তাবিরোধী মনে করেন মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে সমর্থন দিচ্ছে চীন।