নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য মহিলা মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকা বসতি উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদ হওয়া লোকজনকে খুরুশ্কুলে পুর্নবাসন করা হয়েছে। কিন্তু কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন আসেনি পুর্নবাসনের আওতায়। সেই সাথে পায়নি ক্ষতিপূরণের নির্ধারিত টাকাও। এমন একজন ভুক্তভোগী হাফিজুর রহমান। তিনি ওই এলাকায় প্রায় ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে বসবাস করে আসছিলেন।

তিনি জানান, দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছরের ধরে ওই এলাকায় বসতি তৈরি করে বসবাস করে আসছিলেন। বস্তোবস্তি (মামলা নং-৯৯/৭৮-৭৯, খতিয়ান নং-১২৩০ ও ১২০, দাগ নং- বিএস ২৩০৫, ২৩০৩, ৩০০১ ) মূলে ১২ একর ৭৮ শদক জমিতে তিনি তৈরি করেছিলেন বসতি। সেখানে রোপণ করেছিলেন ফলজসহ নানা ধরণের গাছ। কিন্তু বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য জমিগুলো নিয়ে নেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

হাফিজুর রহমান অভিযোগ করেন, খতিয়ানভুক্ত জমি হলেও কোনো পুনর্বাসনের জমি ও ক্ষতিপূরণ না দিয়েই তার বসতি উচ্ছেদ করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, কোনো ধরণের নোটিশ না দিয়েই উচ্ছেদ করা হয়েছে। এই নিয়ে জেলা প্রশাসক অভিযোগ ও অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্রেটের (এডিএম) আদালতে মামলা করতে গেলেও তা নেয়া হয়নি। তাই জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলার করেছেন। তার শুনানী রয়েছে আগামী ১৭ মার্চ।

হাফিজুর রহমান জানান, বন্দোবস্তিমূলে খতিয়ানভুক্ত জমি হলেও তা আমলে নেয়নি সংশ্লিষ্ট। এমনকি হাইকোর্ট থেকে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হলেও তাও গ্রাহ্য করা হয়নি।

হাফিজুর রহমানের দাবি, সরকার উন্নয়নের স্বার্থে জমি নিতে পারে। এতে আমার সমর্থন রয়েছে। কিন্তু ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পাওয়াও আমার অধিকার। কিন্তু আমার অধিকার না দিয়েও জোর করে আমাকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। আইন পরিপন্থি। আমি জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করছি।

কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নু এ  মং মার্মা মং বলেছেন,পুনর্বাসনের  জমি পাওয়ার জন্য আমরা সহযোাগিতা। আমরাই তাকে জমি বুঝিয়ে দেবো।