ইসতিয়াক আহমেদ জয়

বাংলাদেশ পুলিশ মাথায় আসলেই আমি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলা সংস্হাটির নাম বাংলাদেশ পুলিশ। এরকম গৌরবের ধারক সংস্হাটি কেন এত বিতর্কিত?
এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজা জরুরি।
স্বাধীনতায় পুলিশের অবদান মুছে ফেলতে স্বাধীনতা বিরোধিরা দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে মেতেছে,আর পুলিশের কিছু সদস্যও বুঝে না বুঝে সে ফাঁদে পা দিচ্ছে কিংবা রাখছে – এমনটাও হতে পারে!
যাইহোক,
মহামারি করোনার সময় আমরা দেখেছি বাংলাদেশ পুলিশ কতটা আন্তরিক।
মানুষের জানমাল রক্ষায় ভাইরাসের ভয়কে উপেক্ষা করে ঝাপিয়ে পড়েছে পুলিশ, অনাহারির ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে খাবার। পুনরায় আস্হা ফিরেছিল মানুষের।
কিন্তু এরপর সাবেক মেজর এসকে সিনহা রাশেদ হত্যায় পুলিশের নাম জড়ানোয় ভাবমূর্তি সংকটে পড়ে বাংলাদেশ পুলিশ।
আর আমার আজকের আলোচনার বিষয়টা এখানেই……
একজন বা একশোজন পুলিশ সদস্যের অপকর্মের দায় কয়েক লক্ষ সদস্যের ঘাড়ে কেন চাপানো হবে? কেন পুলিশের বদলে যাওয়ার পথ রোধ করা হবে ?
গত পরশু রাতে,
কক্সবাজারে তিনজন পুলিশ সদস্য এক মহিলার টাকা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার হলো কক্সবাজার শহর থেকে।
এ ঘটনায় টিভি টক শো প্রিন্ট মিডিয়া সোশ্যাল মিডিয়া আবারও শুরু হয়ে গেলো তুমুল আলোচনার ঝড় !!
আমার আশপাশের কিছু পরিচিত জন বলা শুরু করে দিলো– “পুলিশ খারাপ ” !!
অথচ অপরাধী পুলিশকে কিন্তু পুলিশই আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে ।
ভুক্তভোগী মহিলা অভিযোগ করেছিলো পুলিশের ৯৯৯ নম্বরে…..
ফোন পেয়ে কাল বিলম্ব না করে ছুটে এসেছিল পুলিশ। আটক করে নিয়ে গেছে তাদের অপরাধী সহকর্মীকে।
এরপরেও কেন আমরা বলবো “পুলিশ খারাপ”???
অপরাধী পুলিশ তো একজন মানুষ,
কই এভাবে তো আমরা কেউ বলছিনা “মানুষ খারাপ” !!!
ত্যানা না পেঁচিয়ে..
আসুন না বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বুকে রাখা সংস্হাটির হারানো উজ্জ্বলতা ফেরানোর যুদ্ধে আমরা সবাই সাথী হই। কারণ বদলালে পুলিশ বদলে যাবে আমার দেশ।