নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজার শহরের কলাতলী সৈকত পাড়ায় খালেদা বেগম (২৫) নামের গৃহবধূকে বিচারের জন্য ডেকে নিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। এতে তার মাথা ফেটে গিয়েছে। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারী রাত ১০টার দিকে সৈকত পাড়ার এজাহার মিয়া কলোনীতে এ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আহত খালেদা বেগম সুগন্ধা পয়েন্টস্থ মমতাজ ভাতঘরের বাবুর্চি আব্দুল মান্নানের স্ত্রী।
এ ঘটনায় আব্দুল মান্নান বাদি হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এজাহার দিয়েছেন। সেখানে অভিযুক্তরা হলেন-হোছন, আবুল কাশেম, রুবল, রফিক, এজাহার মিয়া, জাহেদ, আবদুল্লাহ, মুজিব।
ভিকটিমের স্বামী আব্দুল মান্নান বাবুর্চি জানান, ২৮ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার ছেলে হান্নান ইসলাম বাসার দরজায় টুকা দিলে সামান্য শব্দ হয়। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী খালেদা বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে হোছন, আবুল কাশেম, রুবল ও রফিক। প্রতিবাদ করলেও উল্টো তাকে ব্যাপক মারধর করে তারা। লাথি ও কিল-ঘুষি দিয়ে মাটিতে ফেলে রাখে। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। তাতে তার মাথা ফেটে যায়। ঘটনাটি মুঠোফোনে আব্দুল মান্নানকে জানায় এজাহার মিয়া। সেইসঙ্গে মীমাংসা করে দেবেন বলেও আশ্বস্ত করেন।
আব্দুল মন্নান বাবুর্চি তার আহত স্ত্রী খালেদা বেগম ও ছোট ছেলে হান্নান ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে রাত ১০ টার দিকে এজাহার মিয়ার বাসায় যান। ওই সময় আবারো অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও তাদের বাসা ছেড়ে দিতে বলেন। প্রতিবাদ করলে মন্নান বাবুর্চিকে ওখানে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়।
স্বামীকে রক্ষা করতে গেলে স্ত্রী খালেদা বেগমকে আবারো মেরে আহত করে।
এ সময় মান্নানের পকেটে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ এগিয়ে যায় নি। পরে তাদেরকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ করেন আব্দুল মান্নান।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস জানান, ঘটনার বিষয়ে জেনেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।