প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
দীর্ঘদিন ধরে ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া সায়ানের মৃত্যুর সংবাদ শুনে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসাইনসহ জেলা ছাত্রলীগের একঝাঁক নেতা কর্মী তাৎক্ষণিক উপস্থিত হন। ঢাকা থেকে সায়ানের মৃতদেহ আসার পূর্বে পরিবারকে সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এসএম সাদ্দাম হোসাইন অবস্থানকালে তাৎক্ষণিক জেলা ছাত্রলীগের দুটি টিম গঠন করেন। প্রথম টিম সায়ানের পরিবারের সাথে সার্বক্ষণিক পাশে থাকে এবং দ্বিতীয় টিম সকাল থেকে প্রথম জানাজা হতে দাফন পর্যন্ত অবস্থান করে।
এস এম সাদ্দাম হুসাইন এর তত্ত্বাবধানে দুটি টিমে ছিলেন বোরহান উদ্দিন খোকন, সাখাওয়াত হোসেন, মঈন উদ্দীন জনি, হাসান তারেক, মোহাম্মদ রায়হান, ইনজামামুল হক জুসিয়ান, আবুল মনসুর, শুভ,ইসমাইল মিয়াজী, মুজিবুল হাসান মুজিব, আরমানুর ইসলাম, বাপ্পি, মোঃ মোরশেদ, সামিউল হাসান সামি, রাহাত, কায়সার মাহমুদ জয়, আব্দুল্লাহ আল কাইয়ম সহ আরোও অনেকে।

প্রথম টিমের মঈন উদ্দিন জনি বলেন,কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ এর সংগ্রামী সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসাইন ভাই এর নির্দেশ পাওয়ার সাথে সাথে সায়ানের পরিবারের সমবেদনা জ্ঞাপন করি ও সায়ানের গোসল সম্পন্ন করি। সেই সাথে রাতজেগে সায়ানের পরিবারের সাথে থেকে কক্সবাজারের বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে প্রথম জানাজা উদ্দেশ্যে রওনা না হওয়া পর্যন্ত আমরা সায়ানের পরিবারের সাথে অবস্থান করি।

অন্যদিকে, সকাল ৮টা থেকে কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে উপস্থিত হই। আমরা প্রথমে সায়ানের জানাজার মাঠ পরিষ্কার করি ও মানুষের অজু করার ব্যবস্থা করি,পরবর্তীতে মানুষ সমাগম শুরু হলে প্রতিটি মুসল্লিদের হাতে আমরা মাক্স বিতরণ করি, এবং প্রথম জানাজা থেকে শুরু করে দাফন কার্য পর্যন্ত সায়ানের পরিবারের পাশে ছিলাম।

পরবর্তীতে সায়ানের পরিবার বৃন্দ জেলা ছাত্রলীগের এমন মানবিক কাজ দেখে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসাইন ও তার গঠিত দুই টিমের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এস এম সাদ্দাম হোসাইন বলেন, আমরা খবর পাই দিনের বারোটার দিকে সায়ান ইন্তেকাল করেছেন তাকে ঢাকা থেকে আনা অব্দি মরদেহ পৌঁছানোর আগেই আমরা জেলা ছাত্রলীগ পরিবার তার নানার বাড়িতে উপস্থিত হই। তখন থেকে তার পরিবারের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা করে যায়। সায়ানের দুইটি জানাজা সম্পূর্ণ করে পরিবারের পাশে ছিলাম। আমাদের একটি পরিকল্পনা আছে যারা কক্সবাজার জেলায় বিরল রোগে আক্রান্ত হয় বা যারা চিকিৎসা পাচ্ছে না এবং যারা টাকা পয়সার অভাবে পড়ালেখা করতে পারছে না সবার জন্য আমরা একটা তহবিল গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সায়ান কক্সবাজারের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ কক্সবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে মেধাবী ছাত্র ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান আমরা সায়ানের নামে একটা বৃত্তি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।