সংবাদদাতা:
দেশে বন্য প্রানী সংরক্ষন আইন থাকলেও সাংবাদিকদের সুরক্ষার কোন আইন নেই।ফলে সারাদেশে সাংবাদিকদের উপর হামলা মামলা ও গুম খুনের ঘটনা বাড়ছে।
নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে আওয়ামীলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষে ক্যাডারদের গুলিতে সাংবাদিক বোরহান উদ্দীন মোজাক্কির হত্যার ঘটনাটি এরই অংশ।ঘটনায় জড়িতদের এখনও আইনের আওতায় না আনা আইন শৃংখলাবাহীনির জন্য খুব লজ্জার।কাজেই এতে জড়িত স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার ও সারাদেশে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে হবে।
অন্যথায় এদেশের সাংবাদিক সমাজ ঘরে বসে থাকবেনা।
২৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত সাংবাদিক নেতা ও বক্তারা একথা বলেন।
সংগঠনের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে বিএমএসএফের ককসবাজার জেলা কমিটি এই আয়োজন করেন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বিএমএসএফ ককসবাজার জেলা আহবায়ক শহিদুল্লাহ মেম্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত উক্ত সমাবেশে বিএমএস কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক দৈনিক জনতারবানী ও কক্সবাজারবানী সম্পাদক ও প্রকাশক ফরিদুল মোস্তফা খান, দৈনিক কক্সবাজার একাত্তর সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার, সাংবাদিক আকতার হোছাইন কুতুবী,সেলিম উদ্দীন,আবদু রাজ্জাক সহ বিএমএসএফের শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।সভায় বক্তারা সাংবাদিক সুরক্ষা আইন সহ বিএমএসএফের ১৪ দফা দাবি আদায়ে সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করে সাংবাদিকদের সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। সভায় বক্তারা সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানের বিরুদ্ধে ওসি প্রদীপের সাজানো ৬ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও প্রদীপের বিরুদ্ধে দেওয়া সাংবাদিক ফরিদের মামলা আমলে নিয়ে তাদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানানো হয়। এব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লিখিত ভাবে প্রতিকারের আবেদনের দীর্ঘদিনেও কার্যকর ফলাফল না পাওয়ায় উপস্থিত সাংবাদিক নেতারা গভীর উদ্বেগ ও হতাশা ব্যাক্ত করে আবারও কতৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।