সিবিএন ডেস্ক:

মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করছে পুলিশ। সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের ডাকা ধর্মঘটে আজ সোমবার দেশটিতে সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

মিয়ানমারের সরকারি এমআরটিভিতে আজ বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। টিভির বিবৃতিতে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা কিশোর ও যুবকদের উসকানি দিচ্ছে। এই পথে চললে তাঁদের প্রাণহানি হতে পারে। এরপরই বিক্ষোভকারীরা দেশটিতে ধর্মঘটের ডাক দেন। সেই সঙ্গে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ব্যাপক বিক্ষোভের ডাক দেন। এতে সবাইকে অংশ নিতে আহ্বান জানান।

১ ফেব্রুয়ারি হয়ে যাওয়া সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে ও মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির মুক্তি দাবিতে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে। এ পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন তিনজন বিক্ষোভকারী। জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয়েছে জান্তা সরকার। জান্তা সরকারের হুঁশিয়ারি ও দমন–পীড়নে বিক্ষোভ বন্ধ হয়নি।

বিজ্ঞাপন

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে রাজধানী নেপিডোতে বিক্ষোভকারীদের দিকে পুলিশকে জলকামান ছুড়তে দেখা গেছে।

ফেসবুকে ভিডিও ক্লিপে এক নারী বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করা সত্ত্বেও তারা (পুলিশ) আমাদের ধাওয়া করছে। আমাদের আটক করছে।’

হেটেট হেটেট হালায়িং নামে ২২ বছরের এক নারী বলেন, বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার আগে তিনি ভয় পাচ্ছিলেন। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেছেন। কিন্তু বিক্ষোভ থেকে সরে যাননি। তিনি বলেন, ‘আমরা জান্তা সরকারকে চাই না। আমরা গণতন্ত্র চাই। আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ গড়তে চাই

ধর্মঘটে স্থানীয় দোকানপাটসহ কেএফসি, ফুড পান্ডার মতো বিদেশি বাণিজ্যকেন্দ্রগুলোও বন্ধ ছিল।

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ও বিক্ষোভকারীদের প্রতি সহিংসতার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপান, সিঙ্গাপুর মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে।
মিয়ানমারের অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স বলছে, এ পর্যন্ত দেশটিতে ৬৪০ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।