বার্তা পরিবেশক :

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি বিভিন্ন রকম। আবার দেশের ভেতরেও অঞ্চলভেদে ভিন্নতা রয়েছে। এতে অন্য জেলার চেয়েও কক্সবাজারের সংস্কৃতি বৈচিত্র্যময়। কক্সবাজারের পাহাড় রয়েছে, সমুদ্র রয়েছে, অসংখ্য দ্বীপ রয়েছে, নদী রয়েছে, সমতল রয়েছে। আর এসব ঘিরে নানা বর্ণ, জনগোষ্টির বসবাস। এই সব কিছু মিলে সংস্কৃতির ভিন্নতা বৈচিত্র্যময়। এখালে হঁলা, বান্ডা, আইল্যাগীত, মাঝিমাল্লা, নদীর গান, সমুদ্রের গান, রাখাইন উপজাতি সংস্কৃতি একই সূত্রে গাঁথা। যা দেশের অন্য কোন অঞ্চলে এত বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি নেই। কিন্তু কালের পরিক্রমায় দরিয়ানগর কক্সবাজারের অনেক সংস্কৃতি এখন বিলুপ্ত। এসব সংস্কৃতি সংরক্ষণ করার পাশাপাশি নিয়মিত চর্চা করতে। এতে কক্সবাজারের অবস্থান সমুজ্জ্বল যেমন হবে তেমনি পর্যটন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকালে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে জেলা শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত বসন্ত উৎসব ও শিল্পকলা একাডেমির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বক্তারা এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুুদ্দীন আহমদ। প্রধান আলোচক ছিলেন জাতিসত্বার কবি নুরুল হুদা। জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহ সভাপতি জসিম উদ্দিন বকুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত পাল বিশু। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা কালচারাল অফিসার সুদীপ্তা চক্রবর্তী।