প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক, কক্সবাজার জেলার রত্ন এড. সিরাজুল মোস্তফা বলেছেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন দুঃসময়সহ সংগঠনের নানাভাবে ত্যাগ স্বীকার করা কক্সবাজার জেলার সব সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগ অঙ্গ-সংগঠনের কমিটিতে তাদের পদায়ন করা হবে। শুধু তাই নয়; ইউনিয়ন পরিষদসহ অন্যান্য নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নেও তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
শুক্রবার রাতে কক্সবাজার হোটেল দি প্রিন্সেস’র সম্মেলন কক্ষে নবগঠিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের সংগঠন ‘প্রাক্তন ছাত্রলীগ পরিষদ কক্সবাজার জেলা’র উদ্যোগে আয়োজিত মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা আরো বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এতিহ্যের হাত ধরে আজ একটি মহিরুহে পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধসহ দেশের সব আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রলীগের অনন্য অবদান রয়েছে। ছাত্রলীগের বহু নেতা প্রাণ দিয়েছেন; রক্ত দিয়েছেন দেশ গঠনের সব আন্দোলনে। তাই এসব অবদান ইতিহাসে লেখা রয়েছে। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের অবদান অবিস্মরণীয়। কিন্তু সাবেক হয়ে গেলে অনেক নেতা নানাভাবে অবহেলিত হন। এই ধারা আর চলতে দেয়া যাবে না। সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মূল্যায়ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে। এক্ষেত্রে সবার ঐক্যবদ্ধ থাকাও দরকার।

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও আরেক সাবেক জেলা সভাপতি নূরুল আজিম কনকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত মিলনমেলায় প্রধান বক্তা ছিলেন কক্সবাজার ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জয়বাংলা ৭১ এর কমান্ডার কামাল হোসেন চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, সংরক্ষিত আসনের সাংসদ কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম মুকুল,সাবেক ছাত্রনেতা দিদারুল আলম চৌধুরী, শাকের আহামদ, পিপি ফরিদুল আলম ও আবুল মনছুর চৌধুরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাবেক ছাত্রনেতা এড. রনজিৎ দাশ, অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন, খোরশেদ আলম কুতুবী, হেলাল উদ্দীন কবির, মুসরাত জাহান মুন্নী, উজ্জল কর, আবুল কাশেম, কামরুল হাসান, জসিম উদ্দীন চেয়ারম্যান, ফরহাদ ইকবাল, মহিদ উল্লাহ, মহসীন শেখ, শহিদ উল্লাহ কায়সার, ডালিম বড়ুয়া, হেলাল উদ্দীন, স্বপন বড়ুয়া, সাইফ উদ্দীন, মির্জা ওবাইদ রুমেল, আলী আহমদ, মোরশেদ হোসাইন তানিম।
শুক্রবার দিনব্যাপী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের এই সংগঠনের কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল ৩টা থেকে আনুষ্ঠানিক কর্মসূচী শুরু হয়। ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে আভ্যন্তরীণ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আনন্দ র্যালী, কোরআন তেলোয়াত, ত্রিপিটক পাঠ, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ ও সম্মাননা স্মরক প্রদান। মরহুম সাবেক ছাত্র নেতাদের স্মরণে নীরবতা পালন।
এর পর সন্ধ্যা ৬টার পর মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। মিলনমেলার আলোচনা সভা শেষে সকল সাবেক নেতাদের ক্রেস্ট প্রদান। সবশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পরে
মিলনমেলাকে ঘিরে দীর্ঘদিন পর একত্রিত হয়ে সাবেক ছাত্র নেতার উচ্ছ্বাস ও উল্লাসে মেতে উঠেন। এমন একটি প্লাটফরমে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের একত্রিত হওয়া দলের জন্য ভালো কিছু হবে মনে করেন সকলে। আগামীতে সকলে শক্ত বন্ধনে একত্রিত থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সব সাবেক নেতা।