আনিস নাঈমুল হক, রামু:
সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী রামু উপজেলার চাষীরা। চলতি মৌসুমে বিভিন্ন জাতের সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে।

সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার গল্পও আছে একাধিক কৃষকের।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকেরা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর সবজি চাষ করে তারা অধিক লাভবান হয়েছে। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার সব সবজির পাইকারী দাম ভালো পাওয়ায় প্রচুর মুনাফাও গুনেছেন বিভিন্ন গ্রামের কৃষক।

চাকমারকুলের সাইফুল নামের এক যুবক বলেন, বেকারত্ব জীবন ও দরিদ্র বাবার সংসারের ঘানি টেনে পড়া লেখা করতে পারিনি। তাই সবজি চাষে মনযোগী হয়। প্রথমে অন্য লোকের জমিতে কাজ করতাম। পরে ২ বিঘা জমি নিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে সবজির চাষ শুরু করি।চাষ করে আমার পরিশ্রম বৃথা যায়নি ভালো দাম পেয়েছি বলে পরিবারের হাল ধরতে পেরেছি।

উমখালী গ্রামের কৃষক ফরিদ মিয়া বলেছেন, রামুর বিভিন্ন বাজারে সবজির চাহিদা ভাল থাকায় প্রথমে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ম্যাজিক সীম, শশা, পেপে, জালিকুমড়া, মুলা, লাল শাক, বেন্ডি, টমেটো, লাউ ও ভুট্টা চাষ করি। এসব সবজি বাজারে বিক্রি করে বেশ লাভ হতে থাকে।১০ হাজার টাকা খরচ করে এক মৌসুমে প্রায় অর্ধলক্ষাধীক টাকার সবজি বিক্রি করি। এখন সারা বছরই তার জমিতে বিভিন্ন ধরণের সবজির চাষ হচ্ছে।সবজি চাষ করে বর্তমানে তার সংসার চলে।বর্তমানে সে তার জমিতে শীতকালিন সবজি, শষা ও খিরই চাষে ব্যস্তসময় পার করছে। তিনি আরো বলেন, আমার জমিতে ফসল আল্লাহর ইশারায় হয়, আল্লাহর উপর আমার ভরসা আছে।

মনিজ্জিল গ্রামের জাহাঙ্গির হোসেন জানান, সবজি চাষে লাভবান হওয়াতে এলাকায় অনেকেই সবজি চাষে ঝুকে পড়েছে। পাইকারী ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে সবজি কিনে গ্রাম গঞ্জের ও শহরের বাজারে বিক্রি করেন।এবছর প্রায় এক লক্ষ টাকা বেচাকেনা করেন বলেও তিনও আশাবাদী।ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বর্তমানে সুখি জীবনযাপন করছেন।তিনি আরো জানান, সবজি চাষে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন তার কলেজ পড়ুয়া ছেলেরা।

পূর্ব রাজারকুলের চাষি জোবায়ের জানান, দীর্ঘ বছর ধরে সবজি চাষে নিয়োজিত থাকলেও উপজেলা থেকে একবারও বিনামূল্যে সার ও কীটনাশক ঔষধ সহযোগিতা পায়নি।