সংবাদদাতা :
চকরিয়া পৌরশহরের ছিদ্দিক ফিলিং স্টেশনের পেছনে সৌদি ফেরত জমি মালিককে জিম্মি করে পেশিশক্তির দাপট দেখিয়ে অর্ধকোটি টাকা দামের জায়গা জবরদখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয় বিএনপি নেতার নেতৃত্বে একটি দখলবাজ চক্র। এমনকি ওই জায়গা দখল চেষ্টার ঘটনায় কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১৪৪ ধারা আদেশ জারি করা হলেও তা মানছেনা অভিযুক্ত দখলবাজ চক্র। চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের চিরিঙ্গা পুরাতন বাস স্টেশনের অদুরে ঘটেছে জবরদখলের এ ঘটনা।
অভিযোগে চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৌদি ফেরত আলহাজ রুহুল আমিন জানান, ১৯৯৯ সালের ১১ মে তারিখে ১৬৭৫ নং রেজিস্ট্রি কবলামুলে আগের মালিক আবদুল কুদ্দুসের কাছ থেকে তিনি চিরিঙ্গা পুরাতন বাস স্টেশন লাগোয়া ছিদ্দিক ফিলিং স্টেশনের পেছনে বিএস ১৬ নং খতিয়ানের বিএস ২৯৭ ও ২৯৮ দাগের জিরো দশমিক ১০ একর নাল জমি ক্রয় করেন। সেই থেকে তিনি উল্লেখিত জমি ভোগদখলে রয়েছেন।
জমি মালিক রুহুল আমিন অভিযোগ করেছেন, সম্প্রতি মাস আগে তাঁর ক্রয়কৃত উল্লেখিত জমি প্রথমে বিক্রি করতে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ, পরে ব্যর্থ হয়ে জায়গা দখলের জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয় বিএনপি নেতা নাজেম উদ্দিন প্রকাশ গ্যাস নাজেম। গত ২৬ জানুয়ারী দখলচেষ্টাকালে বাঁধা দিতে গেলে জমি মালিককে প্রাণনাশের হুমকি দেন অভিযুক্ত দখলবাজ চক্রের লোকজন।
জমি দখলচেষ্টার এ ঘটনায় জমি মালিক আলহাজ রুহুল আমিন সর্বশেষ গত ২৭ জানুয়ারী কক্সবাজার অতিরিক্তি জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে চারজনকে আসামি করে একটি এমআর মামলা (নং ৩৬৭/২১) দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয় স্থানীয় বিএনপি নেতা নাজেম উদ্দিন প্রকাশ গ্যাস নাজেম, তার বাবা ইসলাম সওদাগর, ভাই সাহাব উদ্দিন ও জিয়াউদ্দিন বাবলুকে। বাদির আর্জি আমলে নিয়ে আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাং শাজাহান আলী গত ১ ফেব্রুয়ারী শুনানীতে উল্লেখিত জমিতে বিবাদিদের প্রবেশের উপর ১৪৪ ধারা জারি করেন। একইসঙ্গে আদালত ওই জমিতে শান্তি শৃঙ্খলা দেখভালে চকরিয়া থানার ওসিকে এবং তদন্ত প্রতিবেদন দিতে চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশ দেন।
আদালতের নির্দেশে চকরিয়া থানার ওসি শাকের মুহাম্মদ যোবায়ের ইতোমধ্যে থানার এসআই ওমর ফারুককে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে অভিযুক্ত দখলবাজ চক্রকে ওই জমিতে প্রবেশ না করতে এবং সেখানে কোন ধরণের স্থাপনা নির্মাণ না করতে নিষেধ করেন।
জমি মালিক আলহাজ রুহুল আমিন অভিযোগ করেছেন, আদালতের ১৪৪ ধারা জারির পর চকরিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার জমিতে কোনধরণের স্থাপনা নির্মাণ না করতে নিষেধ করলেও অভিযুক্ত বিএনপি নেতা গ্যাস নাজেম এবং তাঁর লোকজন বর্তমানে সেখানে ইট বালু মজুদ করেছে। তাঁরা যে কোন মুর্হুতে সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করবে বলে নানাভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে।
এই অবস্থায় ভুক্তভোগী জমি মালিক রুহুল আমিন তাঁর ক্রয়কৃত জায়গাটি ভূমিদুস্য চক্রের কবল থেকে রক্ষায় আদালতের পাশাপাশি প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।