ছোটন কান্তি নাথ :
সরকারের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেখভালের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনারে অংশগ্রহণসহ জনগণের কাছ থেকে এক মুহূর্তের জন্যও বিচ্ছিন্ন থাকছেন না কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম এমএ। সরকারী দায়িত্ব পুঙ্খানুপঙ্খভাবে পালনের বাইরেও প্রতিদিন ব্যক্তিগত অফিসও সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জনগণের জন্য উম্মুক্ত রেখেছেন তিনি। এই অফিসে বসেই প্রতিদিন শত শত নারী-পুরুষকে সেবা দিচ্ছেন, সমাধান দিচ্ছেন আগত মানুষগুলোর সমস্যার কথা শুনে।
আবার দলীয় এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে গিয়ে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের সাথেও নিয়মিত মিলিত হচ্ছেন চায়ের আড্ডায়। চলমান করোনা ক্রাইসিসের শুরু থেকেও অদ্যাবদি জনগণের কাছ থেকে এক মুহূর্তের জন্যও বিচ্ছিন্ন হননি এমপি জাফর আলম। নির্বাচনী এলাকা চকরিয়া ও পেকুয়ার গণমানুষের নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন অনেক আগেই। যার ফলশ্রুতিতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পৌরসভা, এর পর উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে বর্তমানে সংসদ সদস্য হিসেবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে গুরুদায়িত্ব পালন করছেন জনতার জাফর আলম।
এমপি জাফর আলম যে ব্যতিক্রমী একজন জনতার সেবক তা মঙ্গলবার সকালেও স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করলেন কক্সবাজারের পেকুয়া সদর ইউনিয়নের উত্তর মেহেরনামার বয়োজ্যেষ্ঠরা। দেশে প্রথমবারের মতো নির্মিতব্য পেকুয়ার মগনামার বানৌজা শেখ হাসিনা সংযোগ সড়কের কাজ পরিদর্শন করতে যাওয়ার পথে হঠাৎ এমপি জাফর আলমের চোখে পড়েন উত্তর মেহেরনামার গ্রাম্য একটি চায়ের দোকানে বয়োজ্যেষ্ঠরা বসে আড্ডা দিচ্ছেন। তখনই গাড়ি থামিয়ে বয়োজ্যেষ্ঠদের পাশে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান এবং কুশল বিনিময় করেন।
এ সময় এমপি জাফর আলম এলাকার কোন সমস্যা রয়েছে কী-না জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে। তখন প্রবীণ বেশ কয়েকজন মুরব্বী এমপির কাছে দাবি জানান, উত্তর মেহেরনামায় ছড়ার ওপর একটি নাঁশি রয়েছে। সেই নাঁশিটি দীর্ঘদিন ধরে অকেঁজো অবস্থায় রয়েছে। যার কারণে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
মুরব্বীদের কাছে এই দুঃখগাঁথা শোনার পর অকেঁজো নাঁশির বদলে আবারো নাঁশি নয়, এবার একটি কালভার্ট নির্মাণ করে দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং সাথে সাথে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দিক নির্দেশনাও দেন এমপি জাফর আলম।
পেকুয়ার উত্তর মেহেরনামায় সকাল সকাল হঠাৎ এমপি জাফর আলমকে কাছে পেয়ে ষাটোর্ধ খলিলুর রহমান মেস্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন প্রবীণ মুরব্বীর চোখে-মুখে ফুটে উঠে আনন্দের ছাপ।
খলিলুর রহমান মেস্ত্রী বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো সকাল বেলা গ্রামের দোকানে বসে চায়ের কাপে চুমুকের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এমন সময় হঠাৎ করে গাড়ি থেকে নেমে আমাদের দিকে আসছেন এমপি জাফর আলম। যা আমরা কোনদিন কল্পনাও করিনি। এমপি হওয়ার পরও তিনি এখনো জনগণের কাছে থাকেন এবং জনগণও সুখে-দুঃখে তাকে কাছে পান। যার বিরল উদাহরণ হচ্ছেন আমাদের এমপি জাফর আলম।
এমপির ব্যক্তিগত সহকারী আমিন চৌধুরী বলেন, ‘এমপি মহোদয় প্রতিদিন শত শত মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সেই সেবা অফিসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেননি তিনি। যখনই পাড়া-গাঁয়ের সড়ক দিয়ে গেছেন, তখনই আপমর জনতার সাথে কুশল বিনিময় করে চলেছেন। তাৎক্ষণিক সমস্যার কথা শুনে সমাধানও দিচ্ছেন।’
পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও চকরিয়া প্রেস কাবের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘চকরিয়া ও পেকুয়ার মানুষ খুবই ভাগ্যবান। কারণ কোন ভুক্তভোগী ব্যক্তি তার সমস্যা নিয়ে জনপ্রতিনিধির কাছে হাজির হন মনের কথাটি ভাল করে খুলে বলার বা বোঝানোর। যাতে ওই ব্যক্তির সমস্যাটি তাড়াতাড়ি সমাধান হয়। আমাদের মাননীয় এমপি জাফর আলম জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে খুবই ব্যতিক্রম। যার কারণে তিনি এখনো চকরিয়া-পেকুয়ার গণমানুষের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত রয়েছেন।