প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল – বিএনপির ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন শাখার বর্তমান সভাপতি, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি নেজাম উদ্দিন চৌধুরী আর্জন মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদ।

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া এলাকার বাসিন্দা ও একোয়া হ্যাচারির স্বত্তাধিকারী নেজাম উদ্দিন চৌধুরী আর্জন মিয়া শনিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন।

তিনি ছিলেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির বর্তমান সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের ঘনিষ্ট বন্ধু ও সহচর।

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, নেজাম উদ্দিন চৌধুরী আর্জন মিয়ার মৃত্যুতে জাতীয়তাবাদী পরিবারের বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল। আর আমি একজন ঘনিষ্ট বন্ধুকে হারালাম।

তিনি বলেন, আর্জন মিয়া তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে আন্তরিকতার সাথে সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে বিএনপি পরিবারের যে ক্ষতি হয়েছে তা সহজে পূরণ হবার নয়।

সালাহউদ্দিন আহমদ বিবৃতিতে বলেন, আর্জন মিয়া ছিলেন রাজনৈতিক সহকর্মী ও আমার ছাত্রজীবনের বন্ধু। বন্ধুর মৃত্যুতে আমি ও আমার পরিবার এবং পুরো বিএনপি পরিবার শোকাহত।

তিনি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। একই সাথে তিনি মরহুমের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

সালাহউদ্দিন আহমদ মহান স্রষ্টা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন, মরহুম নেজাম উদ্দিন চৌধুরী আর্জন মিয়াকে যেন মহান আল্লাহ বেহেস্তের সর্বোচ্চ অধিষ্টিত করেন এবং তাঁর পরিবারের সদস্য শোক সইবার ধৈর্য্য দেন।

প্রসঙ্গত, নেজাম উদ্দিন চৌধুরী আর্জন মিয়ার আদি নিবাস চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ছনোয়া এলাকায়। তাঁর বাবা ছিলেন মরহুম মফজুলুর রহমান চৌধুরী। দুই ভাই ও ১০ বোনের মধ্যে আর্জন মিয়া ছিলেন সবার বড়। মৃত্যুকালে তিনি চকরিয়াস্থ মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য ও ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন, গুণগ্রাহী ও রাজনৈতিক সহকর্মী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে হাপানি, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে ভোগছিলেন।

নেজাম উদ্দিন চৌধুরী আর্জন মিয়া ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুল করিম চৌধুরীর ভাগিনা।