আবুল কালাম, চট্টগ্রাম :

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু ভোটের রাজনীতিতে রহস্য মানব হিসাবে পরিচিত। টানা ৭ বার তিনি কমিশনার ও কাউন্সিলর হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

স্বল্পভাষী এই জনপ্রতিনিধি স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে ছোট বেলা থেকে নিরামিষভোজী। অদ্ভূত পোষাকে তার চলাফের নেই কোন বিলাস-ব্যসন। পৃথিবীতে তার ধ্যান জ্ঞান সব কিছুই ঐ ১৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চেয়ারকে ঘিরে। একমাত্র সন্তান এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। স্ত্রী-সন্তানের তেমন চাহিদা নেই।

প্রতিবার নির্বাচন সামনে আসলেই সবাই যখন নির্বাচনী রণ-কৌশলে ব্যস্ত থাকেন তখন অনেকের সামনে প্রশ্ন আসে এবার কি সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু পারবেন? জামায়াতের ঘাঁটি চকবাজারে তার নিজস্ব বাহিনী না থাকলেও নির্বাচন আসলে এলাকার সর্বস্থরের মানুষ তাকে জেতাতে মাঠে নামেন। প্রতিবারই জামায়াত বিএনপির শক্তিশালী প্রতিপক্ষ তার সাথে নির্বাচন করেছেন। ২০১৫ সালের নির্বাচনে বিএনপি জামায়াতের একক প্রার্থী ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল আরও ৭ জন। সে নির্বাচনে সবাই তার জয়ের আশা ছেড়ে দিলেও চার হাজার ৯০৫ ভোটের ব্যবধানে নিকটতম প্রার্থীকে হারান তিনি। বারবার তার কাছে পরাজিত হওয়ার পর এবারের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলাম আর প্রার্থী দেওয়ার সাহস করেনি। বিএনপি এবং দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচন করে এবারও তিনি টানা ৭ম
বারের মতো জয়ী হয়েছেন। এবারই সম্ভবত প্রথমবার তিনি এলাকায় পোষ্টারিং করেছেন। কিন্তু অতীতের নির্বাচনে তার পোষ্টার ছিল না, নির্বাচনী ক্যাম্পেও কোন খাবার থাকতে দেখিনি। নির্বাচনে যারা কাজ করতেন তাদের রাস্তার পাশে দোকান থেকে কখনো বিস্কুট কিনে খেতে দিতেন। তবে এবারই কিছু পোষ্টার এলাকায় সাটিয়েছিলেন।

১৮৬৩ সালে গঠিত চট্টগ্রাম পৌরসভা ১৯৮২ সালে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে রূপ লাভ করে। এসময় তিনি পৌর কমিশনার নির্বচিত হয়েছিলেন। পরে ১৯৯০ সালে সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তর হয়। ১৯৯৪ সালে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এরপর ২০০০, ২০০৫, ২০১০, ২০১৫ এবং সর্বশেষ গত ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৬ষ্ট নির্বাচন। প্রতিবারই ১৬ নং চকবাজার ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হিসাবে জয়লাভ করেছেন সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু। শুভ কামনা জনতার মিন্টু ভাই।