ফারুক আহমদ ,উখিয়া :

অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা শনিবার বিকেলে উখিয়া প্রেসক্লাব সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে উখিয়া টেকনাফের অধিকার বঞ্চিত মানুষের দাবি ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এনজিও সমূহে স্হানীয় শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের চাকুরী নিয়োগ দেয়ার লক্ষ্যে অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি পালংখালী, শান্তিপূর্ণ ভাবে কর্মসূচি পালন করে আসছে।
গতকাল প্রেসক্লাব সম্মেলন কক্ষে অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও সার্বিক কার্যক্রমের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার রবিউল হোসাইন।
৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, মিয়ানমারে সম্মানের সহিত প্রত্যাবাসনে রোহিঙ্গাদের কে উৎসাহিত করতে কর্মরত এনজিওদেরকে কর্মসূচি নিতে হবে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরির ক্ষেত্রে উখিয়া-টেকনাফের ৭০ ভাগ কোটা নির্ধারণ, , সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী হোস্ট কমিউনিটিতে ৩০ ভাগ বরাদ্দের সঠিকভাবে বাস্তবায়ন, উখিয়ায় আধুনিক মানের হাসপাতাল নির্মাণ ও ২৪ ঘন্টা অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস নিশ্চিত, এবং রোহিঙ্গাদের কারণে ধ্বংস হওয়া সামাজিক বনায়নের ক্ষতিপূরণ প্রদান।
গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় কালে উপস্থিত ছিলেন অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল গফুর নান্নু, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক যথাক্রমে তাহিজুল আক্তার জুয়েল, কামাল হোসাইন, নুরুল কবির, মাহবুবুল আলম চৌধুরী, শাহাদাত হুসাইন যুগ্ম আহবায়ক রিদওয়ানুল আজিজ সদস্য জয়নাল উদ্দিন ও আয়াত উল্লাহ।
মতবিনিময়কালে, অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির নেতৃবৃন্দরা বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১৫০ জনের অধিক বেকার যুবক যুবতীরা এনজিওতে চাকরি পেয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, ইয়াবাসহ সর্বনাশা মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের মানববন্ধনসহ সচেতনতামূলক সভা অব্যাহত রয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার রবিউল হোসাইন বলেন ১৪ ও ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমের এমএসএফ বেলজিয়াম হাসপাতলে ২৭৬ জন রোহিঙ্গা নাগরিক নিয়মবহির্ভূতভাবে চাকরি করছে। আমাদের দাবি হচ্ছে রোহিঙ্গাদের ছাড়াই করে স্থানীয়দের কে চাকরি দেয়া। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন , ৭ দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচির পাশাপাশি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।