কালেরকন্ঠ : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গোপন ক্যামেরায় নারীর গোসলের ভিডিও ধারণ ও দম্পতির অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণের চেষ্টার অভিযোগে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিমেল সিকদার (২৩)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি থলপাড়া গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে।

গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা সদরের ইউনিয়ন পাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, প্রায় আট মাস আগে হিমেল সিকদার প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে করেন। তবে পরিবারের সদস্যরা তাদের বিয়ে না মানায় হিমেল সদরের ইউনিয়ন পাড়া এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। হিমেল কয়েকদিন ধরে গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে ওই বাসার মালিকের মেয়ের গোসলের ভিডিও ধারণ করে।

তিনি গত মঙ্গলবার রাতে ওই বাসার ভাড়াটিয়া দম্পতির অন্তরঙ্গ মুহূর্তের দৃশ্য ধারণ করতে ঘরের ধরণার সঙ্গে গোপন ক্যামেরা সাঁটাতে থাকেন। যা দম্পতি দেখে ফেলেন। পরে ভাড়াটিয়া ও বাসার মালিকেরা আসলে প্রথমে হিমেল গোপন ক্যামেরার কথা অস্বীকার করলেও তাদের চাপে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

এছাড়া গতকাল বুধবার দুপুরে তাঁর মুঠোফোন থেকে বাড়ির মালিকের মেয়ের গোসলের পাঁচটি ভিডিও দেখতে পান ভাড়াটিয়ারা। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন খান জানান, বৃহস্পতিবার সকালে জরুরী সভা ডাকা হয়েছে। ব্যক্তির দোষ সংগঠন নিতে পারে না। হিমেলকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক বরাবর সুপারিশ পাঠানো হবে।

মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. খায়রুল লস্কর জানান, হিমেল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। তাঁর মুঠোফোন ও গোপন ক্যামেরা জব্দ করা হয়েছে। থানায় পর্ণগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে বলে জানান।