বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাঙালি বিজয়ের পরিপূর্ণতা লাভ করেছিল : উপাচার্য ড. গোলাম কিবরিয়া ভূইয়া

সিবিএন ডেস্ক :

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশে ফেরার দিনটি শ্রদ্ধায় ভালোবাসায় স্মরণ করলো কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। যথাযোগ্য মর্যাদায় ও যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে পালিত হওয়া স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম কিবরিয়া ভূইয়া।

রবিবার সকাল ১০টায় বিশ^দ্যিালয়ের ক্যাম্পাসে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঘ্য অর্পণ ও জাতিয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া দিনের কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ^বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ^বিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর আবদুল হামিদ ও বিশ^বিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সচিব প্রফেসর একেএম গিয়াস উদ্দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও দেশের স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তীর একটা যুগসন্ধিক্ষণ হচ্ছে ২০২১ সাল। এই যুগসন্ধিক্ষণে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে নিরলস প্রয়াস চালাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা যে অসম্প্রদায়িক ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত ও উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে কার্যকরী ভুমিকা রাখতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. গোলাম কিবরিয়া ভূইয়া বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাঙালি বিজয়ের পরিপূর্ণতা লাভ করেছিলো। ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি বিজয় অর্জন করলেও বিজয়ের স্বাদ অবলোকন করার জন্য বাঙালি জাতিকে ৭২ সালের এর ১০ জানুয়ারী পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল। সেদিন বাংলাদেশের স্বাধিনতা সংগ্রামের সর্বাধিনায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পশ্চিম পাকিস্তানের কারান্তরীন শেষে নিজভুমিতে ফিরে ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের এই অনুষ্ঠানে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।