আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
উহানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল অন্তত ৫ লাখ মানুষ। আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি হিসাবে যা বলা হচ্ছে বাস্তবে তার ১০ গুণ বেশি। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

চীনের হুবেই প্রদেশের উহানসহ বিভিন্ন শহরের মানুষের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করছিল চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল ফর প্রিভেনশন (সিডিসি)। তাতেই উঠে এসেছে এমন চিত্র। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) ওই গবেষণার ফলাফল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে সিডিসি। তবে সেই ফলাফল অন্য কোথাও প্রকাশ করেছে কিনা সেটা উল্লেখ করেনি তারা।

করোনার উৎসস্থল উহানের ৩৪ হাজার বাসিন্দার রক্তের নমুনা পরীক্ষা করেছে সিডিসি। এছাড়া বেইজিং ও সাংহাইয়ের মতো শহরেও পরীক্ষা চালায় তারা। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল গুয়াংডং, জিয়াংসু, সিচুয়ান এবং লিয়াওনিং রাজ্যেও। মূল উদ্দেশ্য ছিল, জনসাধারণের মধ্যে করোনা সংক্রমণের মাত্রা কেমন সেটা যাচাই করা।

গবেষণার ফলাফল রীতিমত বিস্মিত করেছে গবেষকদের। উহানের জনসংখ্যা ১ কোটির কিছু বেশি। সেখানে ৪.৩ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি ধরা পড়েছে। অথচ উহান মিউনিসিপল হেলথ কমিশনের তথ্য অনুসারে উহান শহরে করোনা সংক্রমণ রোববার পর্যন্ত মাত্র ৫০ হাজার ৩৫৪ জন।

উহানের বাইরে করোনা সংক্রমণের মাত্রা আরও কম। হুবেই প্রদেশের অন্যান্য শহরে মাত্র দশমিক ৪৪ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি ধরা পড়েছে। আবার হুবেই প্রদেশের বাইরে ১২ হাজারের বেশি মানুষের নমুনা পরীক্ষা করে মাত্র ২ জনের শরীরে ওই অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে।