আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ায় রোববার আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করেছে সৌদি আরব। এছাড়া স্থল ও সমুদ্র বন্দরের সকল প্রবেশও বন্ধ করা হয়েছে। অন্তত এক সপ্তাহ পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। খবর এএফপির।

সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা- এসপিএর খবরে বলা হয়েছে, ‘এক সপ্তাহের জন্য বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া সকল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করা হলো। বন্ধের সময়সীমা পরবর্তী সপ্তাহেও বাড়ানো হতে পারে।’

খবরে আরও বলা হয়, ‘স্থল ও সমুদ্র বন্দরেও এক সপ্তাহ পর্যন্ত প্রবেশ বন্ধ থাকবে। পরবর্তী সপ্তাহেও এই নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি করা হতে পারে।’

বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থানকারী আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না। ফ্লাইটগুলো সৌদি ছেড়ে যেতে পারবে বলে জানিয়েছে এসপিএ।

করোনাভাইরাসের অধিক সংক্রামক নতুন একটি ধরন যুক্তরাজ্যে পাওয়ার পর রোববার ইউরোপের একাধিক দেশ যুক্তরাজ্যের ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আরও কিছু দেশ নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনা করছে। ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, নতুন এই ধরনটি ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’

এসপিএ জানিয়েছে, গত ৮ ডিসেম্বর থেকে ইউরোপ অথবা করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে এমন যে কোনো দেশ থেকে যেসব যাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছিয়েছে তাদের সবাইকে স্বেচ্ছায় আলাদা থাকতে হবে এবং পরীক্ষা করাতে হবে।

গত সপ্তাহে সৌদিতে ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন পৌঁছানোর পর তিন ধাপ বিশিষ্ট করোনাভাইরাস টিকাদান প্রকল্প শুরু হয়েছে। সৌদি আরবের প্রতিবেশ দেশ কুয়েতও রোববার ব্রিটিশ ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৬১ হাজারের বেশি লোক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৬ হাজারেরও বেশি। উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মধ্যে সৌদিতেই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তবে সেখানে সুস্থতার হারও অনেক বেশি বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।