বার্তা পরিবেশক:

কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কারণে কক্সাজার পৌরসভার ১০ ও ১১ নং ওয়ার্ডের বাস্তুচূত প্রায় সাড়ে তিনশ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে খুরুশ্কুলে। খুরুশ্কুল ইউনিয়নের পালপাড়া সংল্গন বাক্ষ্মণ ঘোনা পাহাড়ি এলাকায় এসব পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনক করা হচ্ছে। এসব পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করতে গিয়ে নিজেদের শত বছরের অধিক সময়ে দখলীয় এবং জোতজমি ও বনভূমি বেহাত হয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন মৃনাল কান্তি চক্রবর্তী নামের এক ব্যক্তি ও তার গোষ্ঠীর লোকজন। তাদের দখলীয় প্রায় ১৪ কানি ফসলি জোত জমিসহ বিপুল সামাজিক বন এলাকা বেহাত হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তারা।

শনিবার ঘটনাস্থলেই এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান তারা। এই জমি রক্ষার সহায়তা চেয়ে তারা প্রশাসনের আকুতি জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, খুরুশ্কুল মৌজার বিএস ১২১৭ নং খতিয়ানের ৫.৬২ একর জমি আর জরিপের অনেক আগে থেকেই মৃণাল কান্তি চক্রবর্তীর পূর্বপুরুষগণ ভোগ-দখলে রয়েছেন। ওয়ারিশ সূত্রে বর্তমানে এসব জমির অংশীদার হয়েছেন প্রায় দুই’শ জন। আদি বসভিটায় পর্যাপ্ত জমি না থাকায় তারা অনেকটা সংকটে জীবন চালাচ্ছেন। তবুও ফসলী জমি ও বাগান ধ্বংস করে ওই পাহাড়ি জমিতে বসত গড়েনি তারা।

তারা জানান, কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কারণে কক্সাজার পৌরসভার ১০ ও ১১ নং ওয়ার্ডের বাস্তুচূত প্রায় সাড়ে তিনশ পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য ওই জমি চূড়ান্ত করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু বিষয়টি তারা অনেক পরে জেনেছেন। জানার পর জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের যোগাযোগ করে প্রতিকার চান। কিন্তু কোনো প্রতিকার বা বিহীত ব্যবস্থা হওয়ার আগেই ওইসব জমিতে বাস্তুচ্যূত পরিবারগুলোকে দখল দেয়া হয়েছে।

এই হিন্দু পরিবারের দাবি, সরকার চাইলে জমি নিতে পারে। কিন্তু নিয়ম মাফিক যে পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেয়া দরকার তা যেন তাদের দেয়া হয়। ক্ষতিপূরণ পেলে তাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। এই ব্যাপারে তারা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মৃণাল কান্তি চক্রবর্তীসহ তার ওয়ারিশগণ। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওয়ারিশ স্বপন কান্তি দে।