সংবাদদাতা:
আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে জনগনের দোয়া ও সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সর্বস্তরের মানুষের সাথে কৌশল বিনিময় করার জন্য মাতারবাড়ী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা এনামুল হক চৌধুরী রুহুল গণসংযোগ করেছেন । মাতারবাড়ীতে এনামুল হক রুহুলের গণসংযোগ যেন গণ মিছিলে পরিনত হয়েছে । ১৮ ডিসেম্বর (শুক্রবার) জুমার নামাজ শেষে পুরান বাজার থেকে তার গণসংযোগ শুরু হয় ।

এদিকে রুহুল চেয়ারম্যান এলাকায় গণসংযোগ করতে বের হয়েছেন এমন সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তের মধ্যে কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক পুরান বাজারে জড়ো হয় । তিনি সবাইকে নিয়ে পুরান বাজার থেকে কৌশল বিনিময় ও গণসংযোগ করার জন্য মাতারবাড়ী সাইরার ডেইলের উদ্দেশ্যে রওনা হলে সবাই তার সাথে নির্বাচনী গণসংযোগে রওনা দেন । তিনি পুরান বাজার হয়ে মাইজপাড়া, হংস মিয়াজির পাড়া, উত্তর সরদার পাড়া, দক্ষিণ সরদার পাড়া, উত্তর সাইরার ডেইল, দক্ষিণ সাইরার ডেইল, মগডেইল ও তিতা মাঝির পাড়া হয়ে পূনরায় পুরান বাজার এসে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ।

এনামুল হক চৌধুরী রুহুল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে দেশের সর্ববৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে । এজন্য আগামী ইউপি নির্বাচনে এই মাতারবাড়ীবাসির জন্য একজন দক্ষ ও দূর্নীতিমুক্ত জনসেবকের প্রয়োজন রয়েছে বিধায় তিনি আবারো নির্বাচন করার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন ।

তিনি বলেন এখনো নির্বাচনী আমেজ শুরু না হলেও প্রথম দিনে ৪/৫ হাজার জনগন আপনারা আমাকে যে সমর্থন দেখিয়েছেন তা আমি কখনো ভূলবনা , তার জন্য আমি আপনাদের কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।

তিনি বলেন আমি কখনো অপশক্তিকে প্রশ্রয় দিইনি , এলাকায় মদ , জুয়া ও অশ্লীল কর্মকাণ্ড কে কখনো সমর্থন করিনি । প্রকল্পে মাতারবাড়ীবাসির জন্য শতভাগ চাকরীর নিশ্চয়তার জন্য আমৃত্যু সংগ্রাম করে যাব । এবং সাধারণ অসহায় জনগণকে সহযোগীতা করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে গেছি এবং গরীব অসহায় জনগনের কাছে আমার এ সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে ।

তিনি অতীতে তার শাসনামলের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন , এই মাতারবাড়ীতে যখন অন্যয়, অবিচার জোর জুলুম ও চোর ডাকাতের রাজত্ব চলছিল ঠিক সেই সময়ে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এসবের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু করে ছিলেন । তখন খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই মাতারবাড়ী থেকে এসব জুলুম নির্যাতন ও চোর ডাকাত বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলাম । তখন আমার এই মাতারবাড়ীর মানুষ দরজা খুলে শান্তিতে ঘুমিয়েছিল । এনামুল হক রুহুলের শাসনামলে বিচার ব্যবস্থা অত্যন্ত ন্যায় পরায়ণ ছিল বলে কেউ অন্যয় করারও সাহস পেত না ।

তিনি ঘুষ ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে মাতারবাড়ীকে আধুনিকায়ন করার পরিকল্পনা করে ছিলেন । যার কারনে মাতারবাড়ীতে উন্নয়ন হয়েছিল অভূতপূর্ব । তাই তিনি জনগনকে সাথে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি আধুনিক মাতারবাড়ী গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আবারো নৌকা প্রতীক প্রত্যাশা করে আগামী ইউপি নির্বাচনে তিনি জনগনের দোয়া ও সমর্থন কামনা করেছেন ।

এর আগে এনামুল হক চৌধুরী রুহুল পুরান বাজার থেকে গণসংযোগ শুরু করে মাইজপাড়া হয়ে সাইরার ডেইল ও মগডেইল যাওয়ার পথে রাস্তার দু’পাশে হাজার হাজার নারী-পুরুষ তাকে সালাম ও ফুল দিয়ে স্বাগত জানায় । মাতারবাড়ীবাসিকে সন্ত্রাস ও দূর্নীতিমুক্ত করতে এনামুল হক চৌধুরী রুহুলের বিকল্প নেই বলে মনে করেন তারা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক মেঘা প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন সহ সমগ্র মাতারবাড়ীর উন্নয়ন তরান্বিত করার জন্য এনামুল হক চৌধুরী রুহুলের মত যোগ্য প্রার্থীর প্রয়োজন । তাই এনামুল হক রুহুলকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে মাতারবাড়ীর সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান ।

এনামুল হক চৌধুরী রুহুলের গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন , হাজী লেদু মিয়া , হাজী আব্দুল করিম (১), হাজী আব্দুল করিম (২), দানু মিয়া সওদাগর, জাবের আহমদ সাবেক মেম্বার, মৌঃ কুতুব উদ্দিন আলকাদেরী , তাজুল ইসলাম তজু (সওঃ), আবুল হাসেম, মাষ্টার নাজেম উদ্দিন, গুনো মিয়া, জালাল আহমদ (সওঃ), আব্দু শুক্কুর, হাজী আব্দুল মালেক (সওঃ), নুরুল কবির, ডাঃ আবদুর রশিদ , হাজী ফয়জুল কাদের, মমতাজ মিয়া , কবির আহমদ , নুরুল হক, আক্তার ফারুক মিস্ত্রি, খলিলুর রহমান , আব্বাছ নুর, মোঃ পারভেজ রাসেল , অলি আহমদ, হাজী আব্দু শুক্কুর, যুবলীগ নেতা ফারুকুল ইসলাম , ছাত্রলীগ নেতা মাশেক উল্লাহ হিরু , জামাল উদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা অহিদুল কাদের, জাফর আলম, আব্দুল মালেক খাঁন, নুরুল হোছাইন, দেলোয়ার হোছাইন, মোঃ রিদুয়ান, শাকের উল্লাহ, মোঃ জানে আলম মোজাম্মেল হক, মোঃ তাহসীন ও শামীম কাদের সহ হাজার হাজার কর্মী সমর্থক গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন ।