বার্তা পরিবেশক:
দেশের অন্যতম ‘রত্নগর্ভা’ জননী, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাবেক দুই সংসদ সদস্য এডভোকেট মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ও ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামানের গর্ভধারিণী মা রিজিয়া আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি’র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম দলটির ‘স্থায়ী কমিটি’র সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদ।

তিনি মরহুমার আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

মরহুমা রিজিয়া আহমদ হলেন অবিভক্ত পাকিস্তানের তৎকালিন চুন্ডিগড় সরকারের কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রী, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ঢাকসু) সাবেক ভিপি ও ভাষা আন্দোলনের অগ্রনায়ক মৌলভী ফরিদ আহমদের সহধর্মিনী।

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং শহরে নির্বাসনে থাকতে বাধ্য হওয়া সালাহউদ্দিন আহমদ ই-মেইলে পাঠানো এক শোকবার্তায় জানিয়েছেন, রিজিয়া আহমদের মতো ‘রতœগর্ভা’ জননীদের আমরা একে একে হারিয়ে ফেলছি। এই রতœগর্ভা মায়েরাই সুসন্তান জন্ম দিয়ে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখছেন।

তিনি বলেন, রিজিয়া আহমদের প্রতিজন সন্তানই দেশের প্রতিষ্ঠিত নাগরিক। চার ছেলে ও এক মেয়ের প্রত্যেকেই স্ব স্ব ক্ষেত্রে নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন। যে মায়ের এক ছেলে পরমাণু বিজ্ঞানী, দ্বিতীয় ছেলে আইনজীবী ও সংসদ সদস্য ছিলেন। তৃতীয় ছেলে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ও চতুর্থ ছেলে ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ও কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। একমাত্র মেয়েও একজন মনোবিজ্ঞানী।

তিনি মনে করেন, এমন সন্তান জন্মদানকারি মা’কে আমরা হারিয়ে ফেললাম।

কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বিবৃতি বলেন, রিজিয়া আহমদের মৃত্যু আমাদের মাঝে গভীর শূণ্যতা তৈরি করেছে। এই শূণ্যতা পূরণ হবার নয়।

সালাহউদ্দিন আহমদ মরহুমার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। একই সাথে তিনি মরহুমার পরিবারের সকল সদস্যের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

তিনি প্রত্যাশা করেন, মহান আল্লাহ রিজিয়া আহমদের জীবনের ভুলত্রুটি ক্ষমা করে তাঁর সুসন্তান ও ভালো কাজের বিনিময়ে জান্নাতের মেহমান বানিয়ে নেবেন।

প্রসঙ্গত, রত্নগর্ভা রিজিয়া আহমদ বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) ভোর ৫টায় রাজধানী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

উল্লেখ্য, জমিদার পরিবারের মেয়ে রিজিয়া আহমদের ৪ ছেলে ও এক মেয়ে। প্রথম ছেলে মোহাম্মদ হারুনুজ্জামান নিউক্লিয়ার বিজ্ঞানী, তিনি আমেরিকা প্রবাসী। দ্বিতীয় ছেলে এডভোকেট মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও হাইকোর্টের আইনজীবী। তিনি ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র দুইদিন আগে নির্বাচনী প্রচারণাকালে জনতার মাঝেই মৃত্যুবরণ করেন। তৃতীয় ছেলে মোহাম্মদ কামরুজ্জামান মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ও শিক্ষক। তিনি রয়েছেন অষ্ট্রেলিয়ায়। ছোট ছেলে ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান বুয়েট থেকে পাস করা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ও কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। একমাত্র মেয়ে জাকিয়া আনাম একজন মনোবিজ্ঞানী। তাঁর স্বামী মাহবুব আনাম বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও ক্রিকেট কমিটির প্রধান।