নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডীতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাদক কারবারীরা। স্থানীয় বাংলা মদ প্রস্তুতকারক ও ইয়াবা কারবারীরা অধরা থেকে যাওয়ায় এলাকার যুবসমাজ ক্রমশঃ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, চৌফলদন্ডী উত্তর পাড়ার রাখাইন পল্লীতে কয়েকটি মদের ডেরায় চোলাই মদ তৈরী ও বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত নাগাদ এসব ডেরায় স্থানীয় ও বহিরাগত মাদকসেবীদের আড্ডা বসে।

অনেক চেষ্টা করেও রাখাইন পল্লীর এসব মাদকের আখড়া বন্ধ করা যায়নি।

চৌফলদন্ডী ব্রীজ সংলগ্ন খালে ভাসমান একটি পেট্রোল পাম্প মাদক পাচারে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে গত রবিবার ইয়াবাসহ আটক হয়েছে পাম্প সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি। চৌফলদন্ডী মাইজ পাড়া এলাকার শাহেদ নামক উক্ত যুবককে কলাতলী থেকে আটক করা হয়।

গত কিছুদিন আগে চৌফলদন্ডী খালে ভাসমান পেট্রোল পাম্প স্থাপন করা হয়। এরপর থেকেই পেট্রোল পাম্প ঘিরে অপরিচিত লোকজনের আনাগোনা চলতে থাকে। মালিকপক্ষের নিকটাত্নীয় ও মাদক ব্যবসায়ী শাহেদ প্রায় সময় উক্ত পেট্রোল পাম্পে অবস্হান করত।

গত ২৯ নভেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এসময় এক হাজার পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে আটক হয় শাহেদ।

এ ছাড়াও একই দিন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পৃথক অভিযানে কক্সবাজার শহর থেকে আটক হয় মোঃ মোস্তফা (২২)। আটক মোস্তফাও চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মাইজ পাড়ার বাসিন্দা। এসব মাদক চৌফলদন্ডী এলাকায় বিক্রির জন্য আনা হচ্ছিল বলে ধারনা করা হচ্ছে।

এবিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সোমেন মন্ডল জানান, আটক আসামীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে এবং মাদকবিরোধী এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মাদক পাচারের ট্রানজিট রুট হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে চৌফলদন্ডী ঘাট।
তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ও স্হানীয় ইউপি সদস্য একরাম মেম্বার গত বছর বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর মাদক কারবার কিছুদিন ঝিমিয়ে পড়লেও এখন আবারো চাঙ্গা হয়ে উঠেছে মাদক কারবারীরা। এতে উচ্ছন্নে যাচ্ছে এলাকার যুবসমাজ।