এম.মনছুর আলম, চকরিয়া :
চকরিয়ায় বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে শহিদুল ইসলাম (১৬) নামের মাদ্রাসা পডুয়া এক ছাত্র গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহত শিক্ষার্থী উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের দরবেশ কাটাস্থ মধ্যম পাড়া এলাকার নাছির উদ্দিনের পুত্র।
মঙ্গলবার (২৪নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে শহিদুল ইসলামের বাবা-মা তাকে অযথা বাড়ির বাহিরে যেতে বারণ করেন। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বাড়ির বাহিরে গিয়ে এলাকায় তার বন্ধুদের সঙ্গে প্রায় সময় যত্রতত্র ঘুরাঘুরি করার কারণে পড়াশোনা একেবারে বন্ধ করে দেয়। ছেলের বিভিন্ন আচরণ দেখে পড়াশোনা নিয়ে তার বাবা-মা প্রায়ই বকাবকি করতো। ছেলে শহিদুলকে মঙ্গলবার সকালেও তার বাবা-মা তাকে পড়াশোনা বিষয়ে বকাবকি করেন। পরে বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে সকালে বাড়ির পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অগোচরে তার রুমের ভেতরে কক্ষে দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সাথে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। গলায় ফাঁস দেয়ার খবরটি স্থানীয় লোকজন ও তার স্বজনদের মাঝে জানাজানি হলে স্থানীয়রা থানা পুলিশকে অবহিত করেন। চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এস আই) নুরে খোদা ছিদ্দিকী ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। পরে পুলিশ নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, গলায় ফাঁস লাগিয়ে এক কিশোরের আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।