কাফি আনোয়ার :

হত্যার উদ্দেশ্যে পরিচালিত অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলায় কক্সবাজার সদর উপজেলা আ’লীগের সাংগঠিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান লুতু’সহ মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।
গতকাল রাত ১১ টার দিকে সদরের ইসলামাবাদ ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে ওই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।
এ সময় লূৎফুর রহমান লুতু’র প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে আসা আরো ৪/৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।।
আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় ঈদগাহ মেডিক্যাল সেণ্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জানা যায়, গতকাল ইসলামাবাদ ইউনিয়নের হরিপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের কালি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান লুতু হরিপুর দোকানের সামনে স্থানীয় রাজনৈতিক ও পূজাকমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলছিলেন। ওই সময় পিছন দিকে থেকে রাম দা নিয়ে একযুবক এলোপাতাড়ি কুপাতে কুপাতে সামনে থাকা লুতুর দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। ঘটনার কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই লুতুর সামনে থাকা সঞ্জয়,সরওয়ার’সহ ৪/৫ জন দায়ের কুপে মারাত্মকভাবে জখম হয়ে মাটিতে পড়ে যায়।
একপর্যায়ে লুতু ওই সন্ত্রাসীকে থামাতে সামনে এগিয়ে গেলে ওই সময় হত্যার উদ্দেশে তাকেও এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে।
নৃশংস ওই সন্ত্রাসী হামলা লুতুর রক্তাক্ত অবস্থা দেখে উপস্থিত স্থানীয় নেতাকর্মীরা পিছন দিক থেকে হামলাকারীকে ধরে ফেলে এবং গনধোলাই দেয়।
ওই ঘৃণ্য সন্ত্রাসী হামলার নায়ক একই গ্রামের বশিরের পুত্র মোস্তফা বলে জানা গেছে। জন্মগতভাবে সে একজন রোহিঙ্গা নাগরিক বলে জানা গেছে। বেশ কয়েক বছর ধরে হরিপুরের পার্শ্ববর্তী পাহাড়ী এলাকায় বসবাস করছে সে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন থাকা হামলাকারী মোস্তফা কেন বা কি কারণে ওই ঘটনা ঘটিয়েছে সে রহস্য এখনো জানা যায়নি।
আহত লুতু’র ছোটভাই ইসলামাবাদ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক ও সাবেক ছাত্রনেতা ফরিদুল আলম বলেন, ভাইজানের উপর আঘাত মারাত্মক। নেক্কারজনক ওই সন্ত্রাসী ঘটনায় আমরা বিস্মিত। এলাকায় জ্ঞাত বা অজ্ঞাতভাবে ভাইজানের শুত্রু থাকতে পারে এটা যেমন কল্পাতীত তেমনি কোন অদৃশ্যশক্তির ইন্ধনে ঘটনাটি ঘটেছে কিনা সেটাও রহস্যাবৃত্ত।
এই ঘটনার মামলা দায়ের করা প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা গেছে, এই বর্বর হামলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একটি প্রতিক্রিয়াশীলচক্র আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুর রহমান লুতু’র গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তায় ঈর্ষাকাতর হয়ে ভাড়াটে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ওই নেক্কারজনক হামলা ঘটিয়েছে বলে অনুমান করছেন ।
গতরাতে সংঘটিত এই ঘৃণ্য ও বর্বরোচিত সন্ত্রাসী ঘটনা বৃহত্তর ঈদগাহ’তে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে ওই সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসের নেপথ্য পৃষ্টপোষকদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।