সিবিএন ডেস্ক:

যুবলীগের এবারের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে এসেছে বেশকিছু নতুন মুখ। তাদের মধ্যে সাবেক ছাত্রনেতা এবং আইনজীবীর সংখ্যা বেশি। রয়েছেন অন্যান্য পেশাজীবীরাও। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাংবাদিকও রয়েছেন। তবে, সংগঠনটির আগের কমিটিতে থাকা অনেক নেতা বাদ পড়েছেন।

নতুন এসেছেন যারা
প্রেসিডিয়ামে পদ পাওয়া অন্তত পাঁচ জন যুবলীগে এবার প্রথমবারের মতো নেতা হয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন মুজিবুর রহমান নিক্সন এবং শেখ সোহেল উদ্দিন, জুয়েল আরেং এমপি, আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী এমপি, ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ এমপি।

কমিটিতে প্রথমবার স্থান পাওয়া সাবেক ছাত্রনেতারা হলেন সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, উপ-সম্পাদক হিসেবে মনোয়ারুল ইসলাম মাসুদ, শামসুল কবীর রাহাত, আব্দুল আজিজ, আদিত্য নন্দী, দেলোয়ার শাহজাদা প্রমুখ।

আইনজীবী সৈয়দ সাইদুল হক সুমন আইন সম্পাদক পদের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো যুবলীগের কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। দফতর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, অর্থ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিল্টন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী সরওয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামীম খান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ প্রমুখ প্রথমবারের মতো যুবলীগে পদ পেয়েছেন।

কেন্দ্রীয় কমিটিতে না হলেও যুবলীগের এবারের জাতীয় কমিটিতে সদস্য হয়েছেন কমপক্ষে ছয় জন সাংবাদিক। ঘোষিত কমিটিতে ২১ জনকে বিষয়ভিত্তিক সম্পাদক ও ২১ জনকে উপসম্পাদক পদ দেওয়া হয়েছে। ৪১ জনকে দেওয়া হয়েছে সহ-সম্পাদকের পদ, ৭৫ জন রয়েছেন নির্বাহী সদস্য।

বাদ পড়লেন যারা
বাদ পড়াদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান আতা, বেলাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি ও নাসরিন জাহান শেফালী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক, ফারুক হাসান তুহিন, সাবেক উপ-গ্রন্থনা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু, সাবেক উপ-মহিলা সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা শেফালী, সাবেক সহ-সম্পাদক তারিক হাসান, সাবেক সদস্য মনিরুল ইসলাম হাওলাদার মনির প্রমুখ।

এর আগে, গত বছর অনুষ্ঠিত সপ্তম কংগ্রেসে শেখ ফজলে শামস পরশকে যুবলীগের চেয়ারম্যান ও মাইনুল ইসলাম খান নিখিলকে সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়। শনিবার (১৪ নভেম্বর) বিকালে তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করেন। ওবায়দুল কাদের তাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটির এই প্রস্তাব গ্রহণ করে কমিটি অনুমোদন দেন।