বিদেশ ডেস্ক:

আল কায়েদার দ্বিতীয় শীর্ষ নেতাকে ইরানে হত্যা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশে গত ৭ আগস্ট তেহরানে হামলা চালিয়ে ইসরায়েলি আততায়ীরা তাকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস। গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে শুক্রবার সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, আবু মুহাম্মদ আল মাসরি নামের ওই আল কায়েদা নেতাকে মোটরসাইকেলে আসা দুই আততায়ী গুলি করে হত্যা করে। তবে কোনও দেশের সরকারই এই হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেনি। আর আল কায়েদার তরফ থেকেও তার মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করা হয়নি।
১৯৯৮ সালে কেনিয়ার মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালায় আল কায়েদা
১৯৯৮ সালে কেনিয়ার মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালায় আল কায়েদা

মিশরীয় বংশোদ্ভূত আল কায়েদা নেতা আবু মুহাম্মদ আল মাসরি। গোষ্ঠীটির বর্তমান নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরির উত্তরসূরি হিসেবে দেখা হয় তাকে। আল কায়েদার প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যদের একজন মাসরি। নিজের মেয়ের সঙ্গে ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেনের বিয়েও দিয়েছিলেন তিনি।

১৯৯৮ সালে আফ্রিকায় দুটি মার্কিন দূতাবাসে হামলার ঘটনায় আল কায়েদা নেতা আবু মুহাম্মদ আল মাসরি জড়িত বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরেই ইরানে আল মাসরিসহ অন্য আল কায়েদা নেতাদের ওপর নজরদারি চালিয়ে আসছে ওয়াশিংটন।

গত ৭ আগস্ট তেহরানের একটি রাস্তায় নিজের মেয়েসহ আল মাসরিকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। শিয়া মতালম্বী দেশ ইরান ও আল কায়েদার মধ্যকার শত্রুতা পুরনো। ২০০৩ সাল থেকেই ইরানের হেফাজতে ছিলো আল মাসরি। তবে ২০১৫ সাল থেকে তেহরানের একটি এলাকায় মুক্তভাবে চলাফেরার সুযোগ ছিলো এই আল কায়েদা নেতার।

মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ধারণা যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যবস্তুতে হামলায় সহায়তা পেতে আল কায়েদা নেতাদের তেহরানে বসবাসের সুযোগ দিয়েছে ইরান। তবে আল মাসরির হত্যাকাণ্ড আল কায়েদার কার্যক্রমের ওপর কেমন প্রভাব ফেলবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। জঙ্গিগোষ্ঠীটির বেশ কিছু সিনিয়র নেতা ইতোমধ্যে নিহত হলেও মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে আফগানিস্তান কিংবা পশ্চিম আফ্রিকাতেও সক্রিয়তা রয়েছে তাদের।