সময় চলে যায় কিন্তু বাস্তবতার কিছু পরির্বতন আসে, সময়ের সঠিক ব্যবহার না করলে সেটা আবার কাল হয়ে দাঁড়ায় মানুষের মাঝে, বাস্তবতাতো তাই বলতেছে, কত কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে আজকে স্থানীয়দের।
বলছিলাম রোহিঙ্গারা দ্বারা স্থানীয়দের হত্যার কথা।

মানবতার বেড়াজালে আজ উখিয়া টেকনাফের মানুষ নিরাপত্তাহীনতা ভুগতে ভুগতে হয়ত এমন এক সময় আসবে সরকার থেকে নিপত্তার জন্য অস্ত্র দাবি করবে। এমন পরিস্হিতির শিকার হতে যাচ্ছে উখিয়া টেকনাফের মানুষ। কত কাল সময় ধরে চলবে এভাবে?

নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্হা যতই জোরদার হচ্ছে কৌশল ততই পরির্বতন হচ্ছে আর অসহায়ত্ব যেন বেড়েই চলছে।

প্রয়োজনের তাগিদে জীবিকা নির্বাহ করতে ক্যাম্পের মধ্যেই চাকরি এবং নানা কর্মের সুবাধে অনেকের আসা যাওয়া কিন্তু প্রকৃত পক্ষে সবাই রোহিঙ্গাদের কাছে অসহায়। কারণ তাঁরা গড়ে তুলেছে ক্যাম্পের মধ্যেই সন্ত্রাসী গ্রুপ, তাদের এই গ্রুপ দ্বারা নির্যাতিত হয় বাংলাদেশের নাগরিক। তাদের অনুদান দিচ্ছে বিদেশে অবস্থানরত আত্নীয় তাদের স্বজনেরা।

প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ শক্তি থাকলেও প্রশাসনের আড়ালে করতেছে নানা অপকর্ম। ক্যাম্পের মধ্যেই ভিবিন্ন রকম দোকান এবং চাকরি করে যে টাকা ইনকাম করে সেই টাকা দিয়ে তাঁরা নিত্য নতুন দেশি অস্ত্র তৈরি করতেছে। সেই অস্ত্র গুলোর মাধ্যেমেই করে যাচ্ছে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা। যার কারণে তাদের ক্ষমতাবল প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে, তাঁরা সবার নজর থাকলেও কোন পন্থায় তাদের সঠিক নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছেনা।

রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে তাদের চাকরির সুবিধা এবং ব্যবসার সুবিধা বন্ধ করে দিতে হবে। তাদের ইনকামের টাকা দিয়ে যেহেতু তাদের কোন কিছু ক্রয় করতে হয়না। সেহেতু সেই টাকা গুলো তাঁরা বিভিন্ন অপর্কমে ব্যবহার করে। যেহেতু তাঁরা নিত্যপণ্য গুলো ফ্রি তে রেশন সুবিধা পাচ্ছে। সুতারাং তাঁরা দিশেহারা হয়ে যায়, টাকা দিয়ে করবে টা কি?

টাকার বিনিময়ে অর্জন করতেছে বাংলাদেশে নাগরিকত্ব, কিনতেছে জায়গা জমি। ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করাচ্ছে চট্টগ্রাম ঢাকার নাম করা প্রতিষ্ঠানে। পরর্বতীতে তাঁরা পাড়ি জমায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। বিদেশে পাড়ি জমানোর পর সেখান থেকে তাদের যোগান দেওয়া অর্থের মাধ্যেমেই তাঁরা কিনতেছে অস্ত্র, শুধু তাই নয় পরিবারের একজন বিদেশে পাড়ি জমাতে পারলেই বাকীদের জন্য মোটা অংকের টাকা পাঠিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব কিনে দিচ্ছে।

এভাবে তাঁদের রমরমা অর্পকম প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে এসব কিছুর পিছনে কারা দায়ী এদের কারণে ধ্বংস হচ্ছে পূর জাতি, বেকায়দার আছে সারাদেশের মানুষ। এই মূর্খ বর্বরজাতি রোহিঙ্গা এদের নেই কোন কৃতজ্ঞতা, এদের কারণে অসহনীয় যন্ত্রণায় আছে সারা দেশ। বিশেষ করে যারা বসবাস করতেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পার্শ্বে।

তাদের তৎপরতা ঠেকাতে প্রশাসনের যে অগ্রণী ভূমিকা তাঁর পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সচেতন নাগরিকদেরও ভূমিকা পালন করা উচিত। কিন্তু বাস্তবিক ক্ষেত্রে তার উল্টো চিত্র? যদি তা না হয়
তাহলে তাঁরা কিভাবে বাংলাদেশের মানুষ কে হত্যা করার সুযোগ পায়?

সেই সুযোগের এনজিওরা তাদের ইচ্ছে মত সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে তাদের কে। তা না হলে তাঁরা কিভাবে ভুলে গেল এটা তাদের দেশ নয়?কারা তাদের কে ভুলিয়ে দিল তাদের দেশের কথা? এসবের পিছনে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে দায়ী এনজিও। এনজিও সংস্হা মিথ্যা তথ্য প্রচার করে সবকিছু চুপ করিয়ে বাস্তবতাকে ধামাচাপা দিয়ে দেয়। সকল ক্ষেত্রে স্থানীয়দের উপর চওড়া হয়ে থাকে তাঁরা,
নির্যাতনের পাশাপাশি অধিকার বঞ্চিত ও করতেছে।

চাকরি সুবিধা থেকেও এবং স্হানীয়দের জন্য যে ৩০% বরাদ্দ দেওয়ার বাজেট রয়েছে সেই সুবিধা থেকেও। সব কিছুতেই এনজিওরা কারসাজি করতেছে স্থানীয়দের সাথে। এসব কারসাজি গুলো করে রোহিঙ্গাদের সুযোগ সুবিধা আরও বেশি করে দেওয়ার জন্য, এবং তাদের নিকটতম আত্নীয়দের চাকরি দেওয়ার জন্য। স্থানীয়দের প্রতি এনজিওর অবহেলা বুঝতে পেরে দিন দিন সাহস বেড়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের। যার কারণে তাঁরা স্থানীয় মানুষ হত্যা সহ নানা অপকর্ম জাড়াতে কোন দ্বিধাবোধ করতেছেনা।

তাদের কে যতটুকু দেওয়া প্রয়োজন তাঁর থেকে বেশি জামাই আদর তাঁরা করতেছে, তাঁর পিছনে একটাই কারণ উত্তর বঙ্গ থেকে চাকরি করতে আসা মানুষ গুলো চাকরি হারানো ভয়ে, চাকরি বাঁচানোর জন্য রোহিঙ্গাদের প্রতিনিয়ত দেখাচ্ছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সমাদর, যার কুফল ভোগ করতে হচ্ছে উখিয়া টেকনাফের মানুষদের। সুতারাং রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এনজিওর চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায়ও নিয়ন্ত্রণের পরির্বতন ঘটাতে হবে, অগ্রাধিকার দিতে হবে স্থানীয়দের।

পরিশেষে সঠিক চিন্তা চেতনা এবং মেধা মননশীলতার মধ্যেমে ফিরে পেতে পারি আগামির সুন্দর উখিয়া টেকনাফ, প্রতিহত করা নয় প্রয়োগ শক্তির মাধ্যেম
হউক সকল সমস্যার সমধান।
স্হানীয়দের প্রতি অমানবিকতা নয়,
মানবিকতা মাধ্যেমে হউক সঠিক মানবতা।
অবমাননা নয় আসল নিয়মে হউক অগ্রযাত্রা। স্থানীয়দের প্রতি কঠোরতা নয় সরলতা হউক সমাধানের রাস্তা।

নিবেদক

দেলোয়ার হোছাইন (বাপ্পী)
বি,এ এম,এ(এল এল,বি অধ্যায়নরত)