এম.আলী হোসেন, চকরিয়া:
কক্সবাজারের চকরিয়া হারবাং ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে করোনা ভাইরাসে বন্ধ থাকা কালিন সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ৯ মাসের বেতন ভাতা (ফি) আদায় নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবক মহল ।
৫ নভেম্বর ১১ টার দিকে হারবাং এলাকায় সাংবাদিকদের কাছে একাধিক অভিভাবকরা জানান , করোনা ভাইরাস কোভিড ১৯ এর
কারণে লকডাউনে আসেনি এমন কোনও দেশ নেই , একইভাবে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো বর্তমান পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে হারবাং ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়।
ছাত্র-ছাত্রীরা ফিরতে পারেনি তাদের প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে । লকডাউনে আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সরকারের খাদ্য সহায়তায় চলতে হয়েছে একাধিক পরিবারকে ।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী নির্ধারিত নিয়মে পরীক্ষা দিতে হবে সকল শিক্ষার্থীকে ।
এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পরীক্ষার ফি সহ বিদ্যালয় বন্ধ থাকা সময়ের ৯ মাস পর্যন্ত মাসিক বেতন ভাতা (ফি) আদায় করে নিচ্ছেন।
অপরদিকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন বিদ্যালয়ের নাম লিখা অনলাইন প্রশ্ন পত্র ফটোকপি করে বিক্রি করার কথা জানিয়েছেন অভিভাবকরা ।
হারবাং ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন জানান , মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফি মাসিক ফি নেওয়া হচ্ছে। উপবৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রী, দরিদ্রপরিবার ও সকল ছাত্র-ছাত্রী
অভিভাবক দের কাছ থেকে কোন প্রকার জোর করে ফি আদায় করা হচ্ছে না বলে জানান তিনি ।
হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর জানান , অনেক দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকদের কাছে বিষয়টি শুনেছেন এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি ।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা , একাডেমিক সুপারভাইজার রতন বিশ্বাস থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এখনো পর্যন্ত কোন পত্র আসেনি- ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে মাসিক ফি আদায় করা বা না করার বিষয়ে, তবে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে চলার জন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি ।