বার্তা পরিবেশক:
দীর্ঘদিন পর আবারো মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল খালেক চৌধুরী। তিনি বোর্ডের অনুমোদনক্রমে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। দায়িত্বগ্রহণ উপলক্ষ্যে তাঁকে বিশাল সংবর্ধনা দিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী।

গতকাল শনিবার (৩১ অক্টোবর) বিদ্যালয়ের হলরুমের এই সংবর্ধণা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিদারুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত গণসংবর্ধণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংবর্ধিত অতিথি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নতুন সভাপতি আবদুল খালেক চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা আলী আহমদ সিকদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন মাহমুদ, সাবেক পরিচালনা কমিটির সদস্য বশির আহমদ আজাদ ও এড. সাঈদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মঞ্জুরুল করিম। কোরআন তেলোয়াত করেন শিক্ষক মিজানুর রহমান।

সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে এড. আবদুল খালেক চৌধুরী বলেন, কিছু মানুষের বহু কষ্ট, শ্রমের বিনিময়ে আজকে একটি অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়িয়েছে শাপলাপুর উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত এই বিদ্যালয়ের জন্য আমি শ্রম ও অর্থ দিয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছি। তার প্রতিদান স্বরূপ বিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্টরাসহ এলাকার মানুষ অতি সম্মানের সাথে দীর্ঘদিন আমাকে সভাপতির দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন। দায়িত্ব পালনকালে এই বিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধান এবং উন্নয়ন কাজে কোনো কার্পণ্য করিনি।

তিনি আরো বলেন, তৃতীয় মেয়াদে ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্বপালনকালীন সময় সংকীর্ণতার কারণে তৎকালীন সময়ে আমার অত্যন্ত বিশ্বস্ত সাইদুল করিম মেম্বারকে আমি নিজেই সভাপতি পদে বসিয়েছিলাম। আমি শুধু প্রতিষ্ঠাতা সদস্য থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বেঈমান সাইদুল আকাশচুম্বি স্বপ্ন দেখে ষড়যন্ত্র করে কমিটি থেকে আমাকে বাদ দিয়ে দেয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে তার অতি বিশ্বস্ত খন্দকার মোস্তাক স্বপরিবারে হত্যা করে বেঈমানির যেমন নজিরবিহীন ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন সাইদুল করিমও ঠিক আমার সাথে সেই আচরণ করেছিলো। কিন্তু আমি তা মনে রাখেনি, বেঈমানদের শাস্তি দুনিয়া ও আখেরাতে কঠিন হয়।

তিনি বলেন, তারপরও নতুনভাবে পুনরায় দায়িত্ব নিয়ে কারো প্রতি আমার কোনো ক্ষোভ নেই। সাইদুল করিমসহ আরো যে কয়েকজন আমার সাথে ষড়যন্ত্র করেছিলো আমি সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছি। তবে বিচারটা আল্লাহর কাছে দিয়েছি। অতীতের সব কিছু ভুলে আমি এই বিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধান এবং উন্নয়নের জন্য আবারো সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে যাবো। বিদ্যালয়ের জন্য যা যা করা দরকার সব করবো। সবার পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়েই সব কাজ করবো।

এসময় তিনি বিদ্যালয়ের তাৎক্ষণিক ১৪টি ফ্যান, মাইক, সাউন্ড সিস্টেমসহ উপহার দেয়ার ঘোষণা দেন।

উক্ত সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উক্ত বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক সুচিত্র পাল চৌধুরী, শাপলাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহাব উদ্দীন মাহমুদ, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সাধারণ সম্পাদক আবু ছিদ্দিক। এর আগে আবদুল খালেক চৌধুরীকে শতাধিক মোটরসাইকেল সহকারে বদরখালী ব্রীজ থেকে শোডাউন সহকারে বিদ্যালয়ে নিয়ে শত শত লোক।