মুমিন উল হক খোকন

ইসলামের আদর্শ হযরত মোহাম্মদ সঃ এর নাম ও সুন্নাহ ছাড়া ইসলামকে জানা ও বোঝা অসম্ভব। মহান আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, আল্লাহ পাক রাসুলুল্লাহ সাঃ কে পাঠিয়েছেন মানব জাতির জন্য রহমত স্বরূপ হিসাবে।আল্লাহ ইমানদারদের উপর অনুগ্রহ করেছেন যে, তাদের মাঝে তাদের নিজেদের মধ্যে থেকে নবী পাঠিয়েছেন তিনি তাদের জন্য তার আয়াত সমূহ পাঠ করেন।তাদেরকে পরিশোধ করেন এবং তাদেরকে কে কিতাব ও কাজের শিক্ষা দেন।বস্তুত তারা ছিল পূর্ব থেকেই পথভ্রষ্ট।(সূরা আল ইমরান ১৬৪)|

মুহাম্মদ সাঃ হলেন আল্লাহ ও মানবজাতির মধ্যে যোগসূত্র স্বরূপ। রাসুল সাঃ কে ভালবাসা ঈমানের একটি অপরিহার্য অংশ।তাই পবিত্র কোরআনে রাসুলুল্লাহ সাঃ কে অনুসরণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। বলুন যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাসো তাহলে আমাকে অনুসরণ কর,তাতে আল্লাহ তোমাদিগেই ভালবাসেন।এবং তোমাদেরকে তোমাদের পাপ মার্জন করে দেন।আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী ও দয়ালু।(সূরা আল ইমরান ৩১)এখানে নির্দেশ এসেছে দু দিক থেকে। এক. এক দিকে কেউ যদি সর্বশক্তিমান আল্লাহ কে ভালবাসতে চায় তাকে অবশ্যই মুহাম্মদ সাঃ কে অনুসরণ করতে হবে।

দুই.অন্যদিকে আল্লাহর ভালবাসা পেতে হলে তাকে রাসুল সাঃ কে অনুসরণ করতে হবে।অর্থাৎ আল্লাহর ভালবাসা পাওয়ার পূর্ব শর্ত হচ্ছে রাসুলুল্লাহ সাঃ কে অনুসরণ করা। বিশ্ব মানবতার অগ্রদূত মুহাম্মদ সাঃ বলেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ মুমেন হতে পারবে না যতক্ষণ না আমি তার পিতামাতা সন্তান এবং অন্য সব থেকে প্রিয় হবো(বুখারী)। তাই মহানবী সাঃ এর জন্ম দিনে নফল রোজা রাখা নবীপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ। সব চেয়ে বড় কথা হলো রাসুলুল্লাহ সাঃ এর জন্মের ঘটনার চেয়েও তার সর্বব্যাপ্ত জীবনাদর্শ আমাদের জন্য অধিক প্রয়োজন।মহানবী সাঃ এর জন্মের বিষয়টি উনার একান্ত ব্যাপার। কিন্তু তার সিরাত বা জীবনাদর্শ সব যুগের সব মানুষের জন্য এবং বিশ্বমানবতার মুক্তির জন্য। আর নবী প্রেমের প্রথম শর্ত হচ্ছে নবীর আনুগত্য। বাস্তব জীবনের এর প্রতিফলন না ঘটলে নবী প্রেমিদের দাবি অর্থহীন। আজ কাল নবীর জন্মদিন নিয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে তারা কি জানে একই দিনে উনি তথা হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর ইন্তেকাল হয়েছেন?

যদিও তারা জানে তারপরও উনার জন্য দুরুদ এবং রোজা সহ দোয়া মাহফিল না করে মাংস পুলাও খেয়ে রাস্তায় বের হয়ে আনন্দ করা কি ফরজ? না, আসলেই তা নয়।রাসুলুল্লাহ জীবনী প্রদর্শন করতে হলে কোরআন হাদিস অনুসরণ করতে হবে।তাই আসুন আমরা সকলে নবীর বাস্তব জীবনের আদর্শ ধারণের মাধ্যমে সকল ধরনের চাপাবাজী মিথ্যা হাদিস বর্জনের মাধ্যমে সঠিক ইসলাম কে অনুসরণ করতে পারি তার জন্য কোরআন কি বলল তা স্পষ্ট ভাবে বুঝে পড়ার মন মানসিকতা তৈরী করার চেষ্টা করি। আমিন।