বিদেশ ডেস্ক:

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কোভিড-১৯ এর প্রকোপ বেড়ে চললেও এখনও এই ভাইরাসকে পরাজিত করা সম্ভব বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সোমবার (২৭ অক্টোবর) এক ভার্চুয়াল ব্রিফিং-এ সংস্থার প্রধান টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস বলেছেন, হাল ছেড়ে দিলে চলবে না।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১১ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যেই বিশ্বজুড়ে বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকায় করোনার সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। মহামারি নিয়ন্ত্রণ প্রশ্নে মানুষের মধ্যে জন্ম নিয়েছে হতাশা।

বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার প্রধান মনে করেন, এ ধরনের হতাশা ও অবসাদ বাস্তবসম্মত। তবে এর জন্য থেমে গেলে হবে না। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি কঠিন। অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়াটাও বাস্তবসম্মত। তবে আমাদের হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না।’

মানুষের জীবন ও যাপনের মধ্যে যে ব্যাঘাত তৈরি হয়েছে তার মধ্যে ভারসাম্য তৈরির জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গেব্রিয়াসিস। তিনি বলেন, ‘নেতারা দ্রুত পদক্ষেপ নিলে, ভাইরাসকে দমন করা সম্ভব হবে।’

মার্কিন হোয়াইট হাউজের চিফ অব স্টাফ মার্ক মিডোস যুক্তরাষ্ট্রে করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তার সরকারের অনিচ্ছা প্রকাশ করার একদিন পরই এমন মন্তব্য করলেন গেব্রিয়াসিস।

রবিবার (২৫ অক্টোবর) সিএনএন-এর স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন অনুষ্ঠানে মিডোসের কাছে সঞ্চালক জেক টেপার জানতে চান, যুক্তরাষ্ট্র কেন মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। জবাবে তিনি বলেন, ‘কারণ এটি জ্বরের মতোই একটি সংক্রামক ভাইরাস।’ তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন, ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ নয় বরং প্রশমনকে প্রাধান্য দিচ্ছে। ‘আমরা মহামারি নিয়ন্ত্রণ করছি না। আমাদেরকে এ সত্যটুকুর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে যে আমরা ভ্যাকসিন, থেরাপি কিংবা অন্য কোনও প্রতিষেধক পাব।’

তবে গেব্রিয়াসিস সতর্ক করে বলেছেন, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা থেকে সরে আসার ফল ‘ভয়াবহ’ হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি ব্যবস্থাবিষয়ক প্রধান মাইকেল রায়ান বলেন, ‘মহামারির প্রভাব প্রশমনের বিষয়টি জরুরি, তবে ভাইরাসকে পরাজিত করার প্রচেষ্টা পরিত্যাগ করা যাবে না।’