আবুল কালাম , চট্টগ্রাম :

চলছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মণ্ডপে মণ্ডপে দেবী দুর্গতিনাশিনী দদুর্গা প্রতিমার বিদায়ের সুর,বৈশ্বিক কোনা কোভিট-১৯ মহামারিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য আজ মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে ফিরবেন দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা।

অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ ও কল্যাণ এবং সব মানুষের মধ্যে নিরন্তর শান্তি ও সম্প্রীতির আকাঙ্ক্ষা নিয়ে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার।
শাস্ত্র অনুযায়ী শাপলা, শালুক আর বলিদানের মাধ্যমে দেবীর পূজা হবে। তাই ঢাকের বোলে নিনাদিত হচ্ছে ‘ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ ঠাকুর যাবে বিসর্জন’।
হিন্দু ধর্ম মতে বোধনে ‘অরুণ আলোর অঞ্জলি নিয়ে দেবী দুর্গার আগমন ঘটে।

টানা পাঁচ দিন মৃন্ময়ীরূপে মণ্ডপে মণ্ডপে থেকে দশমীর দিন তিনি ফিরে যাবেন কৈলাসে স্বামী শিবের সান্নিধ্যে। তাই নগর ও জেলায় সর্বমোট ২ হাজার ১৮৬টি মণ্ডপে বাজছে দেবী বিদায়ের সুর।

মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার বলেন, নগরের ১৬টি থানায় ২৭৩টি মণ্ডপে এবার দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়। পরিষদের পক্ষ থেকে সবাইকে।

সোমবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে এবার শোভাযাত্রা, ধর্মসভা এবং প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে না। ধর্মীয় রীতি মেনে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এবং কালুরঘাট সেতু এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী আগে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য একটি ট্রাকে একসঙ্গে অনেক মানুষ গেলেও এবার একটি ট্রাকে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য শুধুমাত্র ১০ জন যেতে পারবেন। এর বাইরে অতিরিক্ত কেউ প্রতিমা বিসর্জনের জন্য যেতে পারবেন না।
মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতি মণ্ডপ থেকে সরাসরি স্ব স্ব বিসর্জন ঘাটে গিয়ে বিসর্জন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এসব কিছু তদারকির জন্য একটি মনিটরিং সেল করা হয়েছে। যারা সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখবেন।