জে.জাহেদ, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

চট্টগ্রাম বোয়ালখালীর ঘটনাটি এসিড নিক্ষেপ নয়। বরং মেঝো ভাইয়ের মুখমন্ডল লক্ষ্য করে ছোট ভাইয়ের ছোড়া গরম পানিতে মুখ, ঘাড় ও পিঠ ঝলসে গেছে।

১৮ অক্টোবর সকালে উপজেলার আকুবদন্ডি ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। গরম পানিতে ঝলসে যাওয়া আব্দুল খালেক (৪২) প্রকাশ সোহাগকে উন্নত চিকিৎসা জন্য ঢাকা বার্ণ হসপিটালে প্রেরণ হচ্ছে বলে চমেক সূত্রে খবর পাওয়া যায়।

আহত আব্দুল খালেকের স্ত্রী পারভীন আক্তার থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানান, উনার স্বামী সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির টিউবওয়েলে মুখ ধুতে গেলে পিছন থেকে আব্দুল আজিজ খোকন (৪০) ও রুনা আক্তার (৩৫) এক হাতে থাকা মগ দিয়ে গরম পানি ছুঁড়ে মারেন। গরম পানিতে তার মুখ ঝলসে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। যন্ত্রণায় ছটফট করেন।
এসিডের মতো জ্বলতে থাকলে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে চিৎকার শুরু করে। স্বামীর আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে অভিযুক্তরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। আশেপাশের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করেন। বর্তমানে চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ৩ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসারত রয়েছেন। তবে, আজ রাতেই তাকে ঢাকা পাঠানো হচ্ছে বলে জানা যায়।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে আসামী করে আহতের স্ত্রী পারভীন আক্তার বাদি হয়ে বোয়ালখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার থানা মামলা নং-১১/২১৪। মামালায় পরস্পরের যোগসাজেসে হত্যার উদ্দেশ্যে গরম পানি ছোড়ার ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

স্থানীয়রা জানান, আব্দুল আজিজ খোকনের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট। তিনি বিভিন্ন সময়ে নানা অপরাধে জড়ান। এলাকার লোকজন গরম পানি ছোড়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

চমেকের চিকিৎসকরা জানান, রোগীর মুখের অনেক অংশ ঝলসে গেছে। ঘাড় ও পিঠের বেশকিছু অংশ পুড়ে গেছে। তাই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।

বোয়ালখালী থানার ওসি মো. আব্দুল করিম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগে মামলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।