শাহেদ মিজান, সিবিএন
সেনাবাহিনীর পোশাক পরে দুই হাতে দুটি রাইফেল নিয়ে পোজ দিয়ে ছবি তোলা সেই দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সৈয়দুল আমিনসহ (২৫) তিন সন্ত্রাসীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন)। সৈয়দুল আমিন (২৫) উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পের হামিদ হোসেনের পুত্র ও মুন্না গ্রুপের সদস্য। পৃথক অভিযানে আরো ছয়জন আটক করা হয়েছে। কক্সবাজার ১৬ এপিবিএন’র অধিনায়ক হেমায়েতুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যে ক’জন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী দাপিয়ে বেড়ায় তাদের মধ্যে সৈয়দুল আমিন একজন। সম্প্রতি সেনাবাহিনীর পোশাক পরে দুই হাতে দুটি রাইফেল নিয়ে পোজ দিয়ে তোলা তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এর মাধ্যমে তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। চিহ্নিত হওয়ায় তাকে ধরার বিভিন্ন গোপন তৎপরতা চালায় এপিবিএন। এর অংশ হিসেবে পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) রকিবুল ইসলাম এর নেতৃতে টেকনাফ উপজেলার নয়া পাড়া ক্যাম্প থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্তে অভিযান চালিয়ে সৈয়দুল আমিন (২৫) (মুন্না গ্রুপের সদস্য), পিতা হামিদ হোসেন, মাতা- নুর বেগম, বøকে-বি/৯, ক্যাম্প-৯ বালুখালী, কবির মাঝি (৫২), পিতা- আব্দুস সালাম, বøক-এফ/৫, ক্যাম্প-শালবাগান, ৩) নুরুন নবী (২৯), (সালমানশাহ গ্রুপের সদস্য), পিতা- সামচুল আলম, বøক-ই, শেড-৯৭৪। তাদের কাছ থেকে চারশত পিচ ইয়াবা ও তিনটি দেশিয় তৈরি রামদা/কিরিচ সহ গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য যে, ৩নং আসামী নুরুন্নবী কিছু দিন পূর্বে উখিয়া থানায় অস্ত্র সহ গ্রেফতার হয়েছিল এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু আছে।

অন্যদিকে ১৬ নং উখিয়ার শফিউল্লাহকাটা রহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের সিআইসি অফিসের পিছনে বি /১ বøকের অনুমতি ব্যতিত ঘর নির্মাণের দায়ে এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ শাহীন মিয়ার নেৃতৃত্বে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়। কক্সবাজারদের প্রত্যেকে ১৬ নং ক্যাম্পের সহকারী সিআইসি কর্তৃক এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রধান করা হয় এবং তাদের সহযোগি বাংলাদেশি নাগরিক -মোঃ নরুল আমিনকে একই অপরাধের জন্য ১০’০০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

হেমায়েতুল ইসলাম আরো বলেন, আটক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। তাদের আরো সহযোগী রয়েছে। তাদেরও আটক করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি।