আলমগীর মানিক,রাঙামাটি :
রাঙামাটি শহরে আবাসিক হোটেলে নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে ডিভোর্সী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ক্ষমতাসীন দলের এক নেতাকে আটক করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে শহরের রাজবাড়িস্থ হোটেল দিগনিটি থেকে ভূক্তভোগী নারীসহ বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আলমগীরকে আটক করা হয়। আলমগীর বরকল উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা বলে জানা গেছে।

এসময় ভিকটিম নারী অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ ছয় বছর ধরে আলমগীর মেম্বার তাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভনে আমার সাথে শারিরিক সম্পর্ক গড়ে। কিন্তু সে আমাকে বিয়ে করে না। পরবর্তীতে আমি তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। পরবর্তীতে আজ আবার আমাকে ফোন করে হোটেলে দেখা করতে বলে এবং ব্যবসা করার জন্য এক লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় আমার সাথে তোলা ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবে বলে আমাকে হুমকিও দেয় আলমগীর মেম্বার। আমার অজান্তেই সেই সম্পর্কের ভিডিও ছবি তুলেছে সেটি আমি জানিনা এবং তার হুমকিতে লোকলজ্জার ভয়ে আমি তার সাথে হোটেলে দেখা করতে আসি। এখানে সে আমাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারিরিক সম্পর্ক করে। পরবর্তীতে বিষয়টি আমি ফোনে আমার পরিচিত কয়েকজনকে জানালে তারা পুলিশসহ এসে হাতেনাতে আলমগীর মেম্বারকে আটক করে। কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কবির হোসেন আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আমরা বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এবং ভিকটিমের কাছ থেকে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এদিকে উক্ত নারী অভিযোগ করে জানিয়েছেন, বিগত ছয়টা বছর ধরে ভূষণছড়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আলমগীর তাকে বিভিন্ন ভাবে যৌন নীপিড়ন করে আসতেছে। তার কারনে ইতিমধ্যেই তার সংসারও ভেঙ্গে গেছে। পরবর্তীতে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আলমগীর মেম্বার বিভিন্ন সময় উক্ত ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসছিলো।

কান্না করে ভিকটিম বলেন, আমার জীবনটা শেষ করে দিয়েছে আলমগীর মেম্বার। তার কারনে আমি এলাকায় যেতে পারিনা। রাঙামাটি শহরে থেকেও তার কাছ থেকে নিস্তার পাচ্ছিনা। সে আমার ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আমাকে জোর করে শারিরিক সম্পর্ক করে আসছে। এসময় অভিযুক্ত আলমগীর মেম্বারের কঠোর শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন ভূক্তভোগী ঐ নারী।