ইমাম খাইর#
কক্সবাজারে ১০ শতাংশ মহিলা ঘরোয়াভাবে মাছচাষে জড়িত। দেশের অর্থনীতির চাকা আরো শক্তিশালী করতে হলে পুরুষের সাথে মহিলাদেরও আত্মনির্ভরশীল কাজে সম্পৃক্ত করা দরকার। উন্নয়নের শ্রোতধারায় নারীদের অংশ গ্রহণ আরো বাড়াতে হবে।
জেলা পর্যায়ের মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার এডিবি হ্যাচারি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মোহাম্মদ আতিকুল্লাহ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম খালেকুজ্জামান, কক্সবাজার সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তারাপদ চৌহান, সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ অসীম বরণ সেন, সমাজসেবা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, কোস্ট ট্রাস্টের সমন্বয়কারী হাসিবুর রহমান, উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারি জাহাঙ্গীর আলম।
কক্সবাজার শহর ও সদরের বিভিন্ন এলাকার নারী উদ্দোক্তাদের নিয়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা-কোস্ট ট্রাস্টের কর্মশালার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান।
কোস্ট ট্রাস্টের জেন্ডার এন্ড কোস্টাল এ্যাকুয়াকালচার প্রকল্পের সহসমন্বয়কারী সোহেল মাহমুদের সঞ্চালনায় কর্মশালায় নারী উদ্দোক্তারা তাদের স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে গ্রামগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন প্রকল্প তৈরির আহবান জানান।
অংশ গ্রহণকারীরা জানিয়েছে, করোনাকালে তাদের খেত খামারের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মাছ, পানের দাম পায় নি। সঞ্চিত অর্থ শেষ হয়ে গেছে। পরিবারের প্রায় সবাই বেকার। এই মুহুর্তে ঘুরে দাঁড়াতে বিকল্প কর্মসংস্থানমূলক প্রতিষ্ঠান দরকার। কৃষি উপকরণ ও অার্থিক সহায়তা পেলে নিজেদের পাশাপাশি এলাকাকেও সমৃদ্ধ করতে পারবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।