নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের স্বনামধন্য স্বাস্থ্যসেবার প্রতিষ্ঠান হোপ ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থিত হোপ ফিল্ড হসপিটাল পরিদর্শন করেছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও বিশ্ব ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিবৃন্দ। বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) তারা এই পরিদর্শনে যান। এ সময় তাদেরকে উঞ্চ অভ্যর্থনা জানান হোপ ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এম জাহিদুজ্জামান।

পরিদর্শন প্রতিনিধি দলে ছিলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশ দূত রেন্সিক তেরিনক, বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্চি তেমবন, কানাডিয়ান হাইকমিশন বাংলাদেশ এর প্রধান এইড প্রধান পেড্রা মোন মরিস, বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বুশরা আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বয়কারী বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশ এর ডেপুটি রিপ্রেসেন্টেটিভ আইকো নরিতা, ইউএনএফপিএ’র সিনিয়র স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. দেওয়ান মোঃ ইমাদুল হক, হোপ হসপিটালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. নৃন্ময় বিশ্বাস, প্রমুখ।

পরিদর্শনকালে প্রতিনিধিদল বেশকিছুক্ষণ হোপ ফিল্ড হসপিটালে অবস্থান করেন। এসময় তারা হাসপাতালের করোনা ইউনিটসহ বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন। তাঁকে এসব বিভাগ ঘুরে দেখান হোপ ফাউন্ডেশন এর
সিনিয়র ম্যানেজার মোঃ শওকত আলী ও চীফ মেডিকেল অফিসার মোঃ ইসমাঈল ইদ্রিস।

পরিদর্শন শেষে হাসপাতালের কার্যক্রম নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের কৃতিসন্তান আমেরিকা প্রবাসী চিকিৎসক ইফতিখার মাহমুদের অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রতিষ্ঠিত হোপ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রামুর চেইন্দায় একটি বড়মাপের হসপিটাল এবং জেলা কয়েকটি স্থানে বার্থসেন্টার ও মেডিকেল সেন্টার পরিচালিত হচ্ছে। ২০১৭ সালে নির্যাতনের মুখে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসার পর উখিয়ার স্থাপন করে বড় ধরণের একটি ফিল্ড হসপিটাল। সেখানে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়দের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। করোনার প্রকোপ শুরু হলে এই হাসপাতালটিকে ৫০ বেডের একটি আইসোলেশন সেন্টারসহ ১০০ বেডে উন্নীত করা হয়। একইভাবে রামুর চেইন্দায়ও ৫০ বেডের একটি করোনা আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়। সেখানেও করোনা রোগীদের চিকিৎসা চলছে।