যুগান্তর : মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম ২০২৪ সালের শেষ বা ২০২৫ সালের প্রথম দিকে শুরু করার আশা করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ বন্দরে ১৬ থেকে ১৮ মিটার গভীরতার বড় জাহাজ ভিড়তে পারবে।

এসব জাহাজে একই সঙ্গে প্রায় ৮ হাজার টিইইউ’স কনটেইনার (বিশ ফুট দৈর্ঘ্যরে কনটেইনারে এক টিইইউ’স) পণ্য আসতে বা রফতানি করা যাবে। এ বন্দরের সঙ্গে সড়ক, নৌ ও রেলপথ সংযোগ থাকবে।

বন্দর ও এ সংলগ্ন সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে এ চুক্তি হয়। এতে মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দর আরও একধাপ এগিয়ে গেল।

অনুষ্ঠানে মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের পক্ষে প্রকল্প পরিচালক জাফর আলম ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান জাপানের নিপ্পন কোয়ের পক্ষে নাওকি কুডো নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।

অপরদিকে সংযোগ সড়ক নির্মাণে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের মো. সাদেকুল ইসলাম এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠান জাপানের ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্ট গ্লোবাল কোম্পানির প্রতিনিধি শুনজি ইউশিহারা চুক্তিতে সই করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী ভার্চুয়াল লাইনে সংযুক্ত হন।

উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কাজী শাহরিয়ার হোসেন, জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউহো হায়াকাওয়া ও বাংলাদেশস্থ জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইকি ইয়ামায়া।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ব্যয় হবে।