বার্তা পরিবেশক:
কক্সবাজার শহরের কলাতলীর প্রবেশমুখে অবস্থিত ৯৯ গেষ্ট হাউসটি ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে অতি সু-কৌশলে জবর দখল করা হয়েছে অভিযোগ করেছেন মালিক আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, গেষ্ট হাউসটি মালিকানা স্বত্ব শতভাগ আমার। প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণকাল থেকে আমি বিভিন্ন ভাড়াটিয়াদের সাথে আইনগত চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে পরিচালনা করে আসছি। সর্বশেষ ভাড়াটিয়া ছিল, শহিদুল মোস্তফা গং। তাদের মেয়াদ শেষ হলে যথারীতি আইনগতভাবে এডভোকেট একরামুল হুদা ও এরশাদ হোসেন নুরকে ভাড়া প্রদান করি। ইত্যবসরে বিভিন্ন মাধ্যমে শুনতে পারি যে, রাতের অন্ধকারে পর্যটক সাজিয়ে ৯৯ গেষ্ট হাউসের বিভিন্ন কক্ষে অবস্থান নেয় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে কক্সবাজার শহরের একটি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলেন ৯৯ গেষ্ট হাউসের মালিক আলহাজ¦ আনোয়ার অভিযোগগুলো করেছেন।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ প্রায় ৪০ বৎসর প্রবাসে জীবন যাপন করেছি। প্রবাস জীবনের অতিকষ্টে অর্জিত টাকায় এ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। কিন্তু অতি দুঃখের বিষয়, আনোয়ার পাশাসহ আরো বেশ কয়েকজন মিলে আমার স্বপ্নের এ প্রতিষ্ঠানটি জবর দখল করে রেখেছে। তাদের জবর দখলকে বৈধ করার জন্য জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে কিছু দলিলপত্র সৃজন করেছে। এই জালিয়াতি কাগজপত্র ব্যবহার করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এম.আর- ৭৭৫/২০২০ মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার সূত্র ধরে আমি তার জালিয়াতির কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি।

তিনি আরো বলেন, আমি বিদেশে থাকাবস্থায় আমার অনুমতি ও ক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও আমার ছেলেদের ফুঁসলিয়ে নুরুল কবির পাশার স্ত্রীর রূপা পাশার নামে ৩টি ৯৯ গেষ্ট হাউসের নিচে ৩টি দোকান ভাড়া নেয়। এই দোকান গুলো যথাযথ প্রক্রিয়ায় ভাড়া নেওয়ার কথা বলায় নুরুল কবির পাশা আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে জাল কাগজ সৃষ্টি করে আমার গেষ্ট হাউসটি সন্ত্রাসী কায়দায় জবর দখলে নিয়েছে। তার কাছে কোন বৈধ কাগজপত্র নাই। অথচ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

আলহাজ¦ আনোয়ার হোসেন তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি জবর দখলমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- আলহাজ¦ আনোয়ার হোসেনের জামাতা এরশাদ হোসেন নুর, ভাড়াটিয়া রফিকুল ইসলাম, ছেলে মোহাম্মদ নুর, ফাহাদ বিন আনোয়ার, আবদুল্লাহ বিন আনোয়ার ও জাহেদুল ইসলাম।